সিরিয়ার আকাশে ইরানের যাত্রীবাহী বিমানে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানের বাধা

281

তেহরান, ২৪ জুলাই, ২০২০ (বাসস ডেস্ক) : সিরিয়ার আকাশে ইরানের একটি যাত্রীবাহী বিমানের গতিরোধ করার জন্য ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরাইলকে অভিযুক্ত করার পর যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা সিরিয়ার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় একটি যাত্রীবাহী বিমানে বাধা দিয়েছিল।
এধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান তদারকির দায়িত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, এফ-১৫ যুদ্ধ বিমান নিয়মিত মিশনে ছিল, এটি ইরানের মহান এয়ার এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমানের অন্তত ১ হাজার মিটার নিরাপদ দূরত্ব থেকে ফ্লাইটটি পর্যবেক্ষণ করেছে।
সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, এফ-১৫-এর পাইলট বিমানটিকে একটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট হিসেবে শনাক্ত করার পরে এয়ারক্রাফট থেকে সরে আসে ।
এতে বলা হয়, পেশাগত আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিমানটি ইন্টারসেপ্ট করা হয়।
ইরানের আইআরআইবি টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে বিমানটি হঠাৎ গতিপথ পরিবর্তন করায় যাত্রীদের চিৎকার করতে দেখা যায়। এই রিপোর্টের পরেই যুক্তরাষ্ট্র বিবৃতি প্রকাশ করে।
অপর একটি ভিডিওতে ফ্লাইটটির পাশে অন্তত দু’টি যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা যায়।
আইআরআইবি’র ওয়েবসাইট রিপোর্টে বলা হয়, বিমানটি সিরিয়ার আকাশে প্রবেশ করলে জায়োনিস্ট ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ইরানি ফ্লাইটটির কাছাকাছি চলে আসে।
ইসরাইলি যুদ্ধবিমানের সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমানটির সংঘর্ষের বিপদজনক পরিস্থিতিতে আকস্মিকভাবে বিমানটি নি¤œ উচ্চতায় নামিয়ে আনা হয়,এতে অনেক যাত্রী আহত হয়।
আইআরআইবি’র ওয়েবসাইট রিপোর্টে এই ঘটনাকে ‘উস্কানিমূলক ও বিপদজনক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিমানটি তেহরান থেকে বৈরুত যাচ্ছিলো, এই ঘটনার পরে বিমানটি নির্ধারিত যাত্রা অব্যাহত রাখে।