সরকারি হাসপাতালে জরুরি অপারেশন বিনামূল্যে সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

584

ঢাকা, ২৫ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, সরকারি হাসপাতালের সব ধরনের জরুরি অপারেশন বিনামূল্যে সম্পন্ন করাসহ অন্যসব অপারেশন নামমাত্র মূল্যে সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ৪টি ইমার্জেন্সি অপরেশন থিয়েটার, সার্জিক্যাল এইচডিইউ এবং ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উন্নত যন্ত্রপাতি চালুকরনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আজ তিনি এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবেদনশীলতার সঙ্গে জনগনের স্বাস্থ্য মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর এ সংবেদনশীলতার কারণেই আগামী নির্বাচনে আবার জনগণ আওযামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।
তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেবার মান আরো বাড়াতে হবে। শুধু আধুনিক অবকাঠামো হলেই হবে না, সেবার মান বাড়াতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, সেবার ক্ষেত্রে কোন দলাদলি রাজনীতি নয়। সেবার মানই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য সেক্টরে নতুন নতুন অবকাঠামো নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। মাতৃ শিশু মৃত্যু হার কমেছে। কিন্তু তারপরেও রোগীর চাপ অব্যাহত আছে। এই চাপ সত্বেও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সরকার সারা দেশে নতুন হাসপাতাল নির্মাণ করছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকেও পাঁচ হাজার শয্যাবিশিষ্ট করে নতুন আঙ্গিকে গড়ে তোলার কাজ শুরু করা হয়েছে।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, হাসপাতালের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা ১ শিফটরে পরিবর্তে ২ শিফটে এবং জরুরি পরীক্ষা সমূহ সার্বক্ষণিক সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে রোগীদের দূর্ভোগ কমেছে।
এসময় জানানো হয়, ঢামেক হাসপাতালের জরুরি শল্য চিকিৎসা দ্রুততার সাথে নিশ্চিত করতে এই নতুন চারটি জরুরি অপারেশন থিয়েটার কার্যক্রমের মাধ্যমে যথাক্রমে অর্থোপেডিক্স, জেনারেল সার্জারী, থোরাসিক সার্জারী, ইউরোলজি, নিউরোসার্জারি, ইএনটি, চক্ষু, ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারী, শিশু সার্জারি বিভাগের রোগীদের ২৪ ঘন্টাই সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। এছাড়া হাসপাতালের পরিবেশ সুষ্ঠু সুন্দর রাখতে আনসার সদস্যের সংখ্যা ২৪০-এ উন্নীত করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের পরিবেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সকলকে তৎপর থাকতে হবে। ভর্তি হওয়া রোগী প্রতি একজনের বেশি স্বজন যেন না থাকে সেদিকে কঠোর অবস্থানে থাকতে মন্ত্রী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। স্বজনদের ভিড় কমে গেলে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সহজতর হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এসময় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ ও ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার এ কে এম নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিকেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। এসময় তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন, হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত খোঁজ খবর নেন এবং রোগীদের সাথে কথা বলে সার্বিক সেবার মান সম্পর্কে অবহিত হোন।
পরে মন্ত্রী মিটফোর্ড হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সাথে মত বিনিময় সভায় মিলিত হোন।