সামান্য বৃষ্টিতেই লালমনিরহাট শহরের পৌরসভার প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা

236

লালমনিরহাট, ২১ জুলাই,২০২০ (বাসস ): লালমনিরহাট পৌরসভায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে ড্রেন নির্মাণ করা হলে ও সামান্য বৃষ্টিতে শহরের প্রধান সড়ক, সরকারি ফুটবল খেলার মাঠসহ কয়েকটি স্থানে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এ সময় এলাকাবাসী, পথচারী, রাস্তার পাশের ক্ষুদ্র দোকান ব্যবসায়ী ও স্কুল কলেজ গামী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
লামনিরহাট পৌরসভা একটি প্রথম শেণীর পৌরসভা। এ পৌরসভার জলবদ্ধতা ও শহরের প্রধান সড়কে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। জলাবদ্ধতা ও সড়কের পানি নিস্কাশন কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে শহরের অলিগলিতে ড্রেন। কিন্তু অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেন নির্মাণ করায় পানি নিস্কাশনে কোন কাজে আসছে না। শহরের গিয়াস উদ্দিন স্কুল সংলগ্ন অভিযান ক্লাবের সামনের রাস্তা, নর্থবেঙ্গল মোড় সমাজ সেবা অফিসের সামনের প্রধান সড়ক, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পাকা রাস্তা, আলোরুপা মোড়, সাপটানাবাজার কবরস্থানের সামনের প্রধান সড়ক, পূর্ব সাপটানা আবাসিক এলাকা, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল খেলার মাঠ, মিশনমোড়ের ঈমামগঞ্জ মসজিদের সামনে ও আর্দশপাড়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাটু পানি। এ সময় জলবদ্ধতার কারণে পথচারী, রাস্তার পাশের দোকান ব্যবসায়ী, স্থানীয় এলাকাবাসী, মসজিদ মাদ্রাসার মুসল্লি ও সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীসহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাফেরা করতে দুূর্ভোগে পড়তে হয়। বসুন্ধারা আবাসিক এলাকার অধিবাসী মোঃ রাশেদুল ইসলাম(৩২) জানান, গত কয়েকদিন ধরে তার বাসার সামনের পাকা রাস্তায় হাটু পানি জমে আছে। এ হাটু পানি পাড় হয়ে মসজিদসহ অন্যত্র যাতায়াত করতে হয়। এখানে পুকুর ও রাস্তার পানি মিশে একাকার হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে এ এলাকার প্রায় কয়েক একর ফসলের জমির রোপণ করা চারা ধানগাছ পঁচে গেছে। মরগির খামারের পানি উঠেছে ও পুকুরের মাছ অন্যত্র চলে গেছে।
লালমনিরহাট পৌর সভার মেয়র মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু জানান, পুরো শহরে সকল ড্রেন নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে। সকল ড্রেন নির্মাণ শেষ হলে পানি নিস্কাশন দ্রুত হবে। তখন জলাবদ্ধাতা থাকবে না। কোথাও কোথাও এলাকাবাসী ড্রেন নির্মাণে জমি না দেয়ায় ড্রেন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সেসব জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে সাময়িক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।