বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (প্রথম কিস্তি) : এক ব্যক্তি কোম্পানী খোলার সুযোগ রেখে কোম্পানী আইনের খসড়ার অনুমোদন

400

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (প্রথম কিস্তি)
শেখ হাসিনা-মন্ত্রিসভা-কোম্পানী আইন
এক ব্যক্তি কোম্পানী খোলার সুযোগ রেখে কোম্পানী আইনের খসড়ার অনুমোদন
ঢাকা, ২০ জুলাই ২০২০ (বাসস) : দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগকে আরো এগিয়ে নিতে ‘এক ব্যক্তি কোম্পানি’ খোলার সুযোগ রেখে কোম্পানী (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন,২০২০ এর খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সকালে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে সচিবালয়ে বৈঠকরত মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সচিবদের সঙ্গে যোগ দেন। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘এক ব্যক্তির কোম্পানি’ হল সেই কোম্পানি, যার বোর্ডে সদস্য থাকবেন কেবল একজন। পরিচালক এবং প্রধান ব্যক্তি একজন থাকেন বলে এ ধরনের কোম্পানি পর্ষদ সভা করা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নিয়মের ছাড় পাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এক ব্যক্তির কোম্পানি- এটা আমাদের পারসেপশনে ছিল না। এটা আমাদের কাছে বিভিন্ন দিক থেকে প্রস্তাব এসেছে যে এক ব্যক্তিকে কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধন করা হলে অনেক বিনিয়োগ আসবে।’
সে কারণে এক ব্যক্তির কোম্পানির নিবন্ধন, পরিচালনা ও বিধি-বিধান সংশোধিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে হস্তান্তরকারীর ব্যক্তিগত উপস্থিতি এবং কমিশনের মাধ্যমে হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।’
তিনি আরো বলেন,‘কোম্পানি উঠে গেলে পাওনাদারদের ঋণ পরিশোধে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমরা দেখেছি যখন কোম্পানি উঠে যায় তখন পাওনাদাররা ঘোরে।’
কোম্পনি আইন সংশোধন করে অনলাইনের মাধ্যমে নিবন্ধনের বিধান রাখা হচ্ছে বলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব উল্লেখ করেন।
খন্দকার আনোয়ার বলেন, বর্তমান আইনে ১৪ দিনের নোটিসে বোর্ড মিটিং করার বিধান ছিল, সেটাকে এখন ২১ দিন করা হচ্ছে।
‘এক ব্যক্তির কোম্পানি খোলার সুযোগ এবং ২১ দিনে বোর্ড মিটিংয়ের ব্যবস্থা রাখায় বিশ্ব ব্যাংকের ব্যবসায় পরিবেশের সূচকে আমাদের পয়েন্ট বেড়ে যাবে.’বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর কোম্পানি আইন সংশোধন প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। এখন এই আইন সংশোধনীর প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া তা পাসের জন্য সংসদে তোলা হবে।
চলবে/বাসস/এএসজি-এফএন-এসএইচ/২০২৫/এবিএইচ