বাসস ক্রীড়া-১০ : রেকর্ডময় মৌসুমের পুনরাবৃত্তি ‘অসম্ভব’ : গার্দিওলা

137

বাসস ক্রীড়া-১০
ফুটবল-প্রিমিয়ার-ম্যানসিটি-গার্দিওলা
রেকর্ডময় মৌসুমের পুনরাবৃত্তি ‘অসম্ভব’ : গার্দিওলা
ইস্ট রাদারফোর্ড (যুক্তরাষ্ট্র), ২৫ জুলাই, ২০১৮ (বাসস/এএফপি) : প্রিমিয়ার লীগে ম্যানচেস্টার সিটির আরেকটি রেকর্ডময় মৌসুম কাটানোর সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন ক্লাবটির প্রধান কোচ পেপ গার্দিওলা। সমর্থকদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, আগের মৌসুমের পুনরাবৃত্তি ঘটানো ‘অসম্ভব’।
গত মৌসুমে ইংল্যান্ডের শীর্ষ লীগে সিটির রেকর্ডময় আধিপত্য হৈচৈ ফেলে দেয়। গার্দিওলার অধীনে প্রথম প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা লাভ করে সিটি। গত আসরে প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে প্রথমবারের মত ১০০ পয়েন্ট সংগ্রহের মাধ্যমে শিরোপা জয় করে সিটিজেনরা। নিকটবর্তী দলের সঙ্গে ১৯ পয়েন্টের বিশাল ব্যবধানে শিরোপা নিশ্চিত করার রেকর্ডও গড়ে তুলে ম্যানচেস্টার সিটি। এসময় তারা সর্বাধিক (১০৬) গোল এবং সর্বাধিক ম্যাচ (৩২) জয়ের রেকর্ডও সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে টানা (১৮) ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ও সর্বাধিক (+৭৯) গোল ব্যবধানের রেকর্ড বইয়েও নাম লেখায় ম্যানচেস্টার সিটি। আসরে ক্লাবটি ১১টি অতীত রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। তবে আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন মৌসুমটি আরো কঠিন হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বার্সেলোনার সাবেক কোচ গার্দিওলা।
ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন্স কাপ প্রীতি ম্যাচে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি সফররত ম্যানচেস্টার সিটির কোচ বলেন, ‘প্রিমিয়ার লীগে আমরা আর কোন রেকর্ড ভাঙ্গতে যাচ্ছিনা। এটি অসম্ভব ব্যাপার। পরবর্তী দুই সপ্তাহ আমাকে আমার খেলোয়াড়দের চেহারা দেখতে হবে, যখন তারা একত্রিত হবে। এখানে আমাদের ১৫ জন খেলোয়াড়ই অনুপস্থিত। যখন আমরা দেশে ফিরব তখন কম্যুনিটি শিল্ডের ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য সময় পাব মাত্র চার থেকে পাঁচ দিন। টুর্নামেন্টে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচেই ছেলেদের আসল চেহোরা দেখতে পাব।
এ মুহূর্তে প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে জয়ের জন্য দলকে প্রস্তুত করা। প্রতিটি দিন আমাদের কর্মকান্ডের ফল হচ্ছে গত আসরের রেকর্ড।’
এদিকে গত মে মাসে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন গার্দিওলা। ওই চুক্তির ফলে ২০২১ সাল পর্যন্ত ওই ক্লাবের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। ২০০৮ সালে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করার পর থেকে কোন ক্লাবের সঙ্গে এটিই গার্দিওলার দীর্ঘ মেয়াদের চুক্তি।
তবে স্প্যানিশ এই কোচ জানেন কোন কিছুতেই নিশ্চয়তা নেই। বলেন, ‘আমরা যখন চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলাম তখন সর্ব প্রথম দেখা হয়েছে, আমি স্বস্তিবোধ করছি কিনা। এরপর দেখা হয়েছে আমাদের কর্মকান্ডের উপর ক্লাবের আস্থা আছে কিনা। ক্লাবের লোকজন জানেন, সব কিছু নির্ভর করছে ফলাফলের উপর। আমরা আরো তিন বছরের চুক্তিতে উপনীত হয়েছি। তবে ফলাফই বলে দিবে ভবিষ্যৎ কি হবে। আমরা যারা ফুটবল প্রশিক্ষকের কাজ করি তারা সব সময় ঝুঁকির মুখে থাকি।’
বাসস/এএফপি/এমএইচসি/১৮০০/-স্বব