পদ্মা নদী সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে

412

ঢাকা, ১৭ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : আগামী ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদী সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র আজ জানায়, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া কুশিয়ারা ছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি কমছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমছে। অপরদিকে যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি অব্যাহতভাবে কমতে পারে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে ২২টি অঞ্চলে নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরমধ্যে যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ অংশে প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ১২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।
বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র জানায়, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১০১টি স্টেশনের মধ্যে ৪৪টির পানি বাড়ছে ও ৫৭টির কমছে। ২২টি স্টেশনে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম অংশে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদী গাইবান্ধা অংশে ৮৮, করতোয়া চকরহিমাপুর অংশে ১৪, ব্রহ্মপুত্র নুনখাওয়া অংশে ৭৮, ব্রহ্মপুত্র চিলমারী অংশে ৮৯, যমুনার ফুলছড়ি অংশে ১১৮, যমুনার বাহাদুরাবাদ অংশে ১২৫, যমুনার সিরাজগঞ্জ অংশে ১০০, যমুনার আরিচা অংশে ৬৭, গুড় নদীর সিংড়া অংশে ৪৮, আত্রাইয়ের বাঘাবাড়ির অংশে ৯২,পদ্মার গোয়ালন্দ অংশে ৯৯, পদ্মার ভাগ্যকূল অংশে ৬২, পদ্মার মাওয়া অংশে ৫৭, সুরমার কানাইঘাট অংশে ৩৬, কুশিয়ারা আমলশীদ অংশে ৬৭, কুশিয়ারার শেওলা অংশে ১৫ এবং পুরাতন সুরমার দিরাই অংশে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ১০টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। জেলাগুলো হলো- সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, নাটোর, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলা। আবার ৭টি জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সেগুলো হলো- মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ি ও ঢাকা জেলার নিম্নাঞ্চল।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশের কোথাও উল্লেখযোগ্য বৃষ্টি হয়নি। আর বাংলাদেশ সংলগ্ন ভারত অংশের মধ্যে পাসিঘাটে ৮৭ এবং চেরাপুঞ্জিতে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।