ফেনীর বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে পানি সম্পদ সচিব

200

ফেনী, ১৬ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : জেলার পরশুরাম ও ফুলগাজীতে মুহুরী বাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার। তিনি গতকাল বাঁধ ভাঙ্গা প্লাবনে ফুলগাজীর উত্তর দৌলতপুরে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এতে ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিলা অঞ্চলের বিভাগীয় প্রকৌশলী জহির উদ্দিন মাহমুদ, ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন, পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় উপস্থিতির উদ্দেশ্যে সিনিয়র সচিব বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কোনো ব্যক্তি না খেয়ে থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন।
বাঁধ সংস্কার প্রসঙ্গে সচিব বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বলা হয়েছে যেন আগামীকাল থেকেই বা চর্চার কাজ শুরু হয়। মুহুরী বাঁধ প্রসঙ্গে তিনি বন্যা কবলিত এলাকায় গণমাধ্যমকে বলেন, এই বাঁধটি নিচু এবং চওড়া এবং প্রতিবছর ভারতের উজানের পানি এদিক দিয়ে নামে এবং নিষ্কাশনে খুব বেশী পানি যখন একসাথে নামে তখন বাঁধগুলো ভেঙ্গে যায়।
বাঁধ ভাঙ্গার আরেকটি কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, এখানে তিনটি নদী মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি একসাথে একজায়গায় মিলিত হয় এবং যেখানে মিলিত হয় সেখানেই এলজিডির কিছু ব্রিজ রয়েছে এবং এই ব্রিজ গুলো খুব নীচু। ব্রিজের কারণে নদীর পানিকে চাপিয়ে আনা হয়েছে, সেজন্য এই ব্রিজগুলো ভেঙ্গে ফেলার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
স্থানীয়দের খাল খননের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনার ৫০ শতাংশ কাজ হচ্ছে নদীগুলো খনন করা। বাকি ৫০ শতাংশ হচ্ছে বাঁধ একটু চওড়া করা, উঁচু করা। তিনি জানান, মুহুরী নদীর সাথে সিলোনিয়া ও কহুয়া নদীও খনন করা হবে। খাল খননের বিষয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেলটা প্ল্যান ঘোষণা করেছেন। ডেলটা প্ল্যানে সারা বাংলাদেশে খালগুলো পুণঃখননের পরিকল্পনা আছে। সে অনুযায়ী ফেনীতেও প্রথম ধাপে প্রতি উপজেলায় একটি করে খাল খননের প্রকল্প নেয়া আছে। সেইসাথে সারা বাংলাদেশে মোট ৫১১ টি খাল ও ছোটনদী খনন করা হবে৷
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, বন্যায় ১ হাজার ২০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৯৮টি পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ইতোমধ্যে ৬০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ফুলগাজীতে ২০ টন চাল ও ৬০ হাজার টাকা এবং পরশুরামে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ১০ টন চাল ও ৪০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আরও ১২০ টন চাল ও দেড় লাখ টাকা মজুদ রয়েছে যা যথাশীঘ্র বিতরণ করা হবে।