বাজিস-৪ : ভোলায় চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানীর পশু মজুদ রয়েছে

140

বাজিস-৪
ভোলা-কোরবানী-পশু
ভোলায় চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানীর পশু মজুদ রয়েছে
ভোলা, ১৬ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে জেলায় চাহিদার চেয়ে বেশি পশু মজুদ রয়েছে। এবছর কোরবানীর জন্য সম্ভাব্য চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৮৬৩টি। আর মজুদ রয়েছে ৪৭ হাজার ৮৭৬ টি প্রাণী। যা চাহিদার চায়ে ৩ হাজার ১৩টি বেশি। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৩৩ হাজার ৭৫০, ছাগল ৯ হাজার ৪৮৫. মহিষ ৯৪১ ও ভেড়ার চাহিদা রয়েছে ৬৮৭টির। জেলার ৭ উপজেলার মোট ২৬’শ ৮৭ টি খামার ও পাবিারিকভাবে এসব পশু বর্তমানে হৃষ্ট পুষ্ট করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বিগত বছরে এ জেলায় কোরবানীর পশুর চাহিদা ছিলো ১ লাখ ৫ হাজার। এবছর বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে অনেকেই কোরবানী দিতে পারছেনা। ফলে পশু কম জবাই হবে। তাই চাহিদাও কমে ্এসেছে। আবার অনেক খামারী এবার অপেক্ষাকৃত কম গরু মোটা-তাজা করছেন। তবে কোরবানীকে ঘিরে প্রাণী সম্পদ দপ্তর থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া এবার অনলাইনে গরু বিক্রির জন্য বিভিন্ন খামারীদের তৎপরতা চলছে।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুামার মন্ডল বাসস’কে জানান, পশু মোটাতাজা করণের আধুনিক পদ্ধতি ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্রা এর ব্যবহারের মাধ্যমে এ জেলায় গরু, ছাগল, মহিষ ইত্যদি পুষ্ট করা হচ্ছে। একইসাথে সবুজ ঘাস, দানাদার খাদ্য, ভাত, খরের সাথে ইউরিয়াসহ সুষম খাবার খায়ানো হচ্ছে এসব খামারে। এ পদ্ধতিতে একটি গরু প্রতিদিন ৭৫০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজন বৃদ্ধি পায়। একইসাথে করোনার কারণে হাটগুলোতে যাতে বেশি লোক সমাগম না হয় সে জন্য খামরীদের অনলাইনে পশু বিক্রির জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে প্রাণী সম্পদের পক্ষ থেকে ২২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সদরে খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম। এ রুমের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে খামারীদের যে কোন সমস্যা সমাধান করা হবে। এছাড়া নিষিদ্ধ ক্ষতিকারক স্ট্রয়েট জাতীয় ওষুধের বিরুদ্ধে জেলার দোকানগুলোতে আমাদের অভিযান চালানো হচ্ছে। খামারগুলোতে পশুর শরীরের ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে কোরবানীর পশু সঠিকভাবে জবাই, চামড়া ছড়ানো, মাংস কাটার ব্যাপারে ১৮০ জন কষাইকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। পশু প্রতিপালনে ১৭৫জন খামারীকে দেয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ। পশু জবাই করার জন্য ২১৮টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এবছর স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ৯৩টি পশুর হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আগামী ১ সপ্তাহ পর এসব হাট জমে উঠবে।
সদর উপজেলা পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের আকতার ডেইরী ফার্মের মালিক মো: আকতার হোসেন বাসস’কে বলেন, তার খামারে উন্নত জাতের ৫০টি গরু রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু বিক্রিও হয়েছে। তিনি ওজন দরে গরু বিক্রি করে থাকেন। তার খামার থেকেই ক্রেতারা গরু নিয়ে যান। তার এখানে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা মূল্যের গরু রয়েছে। সবুজ ঘাস, গমের ভুিসসহ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে এসব গরু মোটা-তাজা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাসস/এইচ এ এম/১২৩০/নূসী