বরিশালে অনলাইনে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

377

বরিশাল, ১৬ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেই চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১ আগস্ট মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে যাচ্ছে।
বরিশালে অনলাইনে (ফেসবুক) জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। করোনাভাইরাসের এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও নিরাপদ দূরত্ব বাজায় রেখে কীভাবে পশুর হাট বসবে, একথা মাথায় রেখে কেউ-কেউ অনলাইনে সেরে নিচ্ছেন পশু কেনাবেচা।
জানাগেছে, খামারীরা ফেসবুকে পশুর নির্ধারিত মূল্য, ছবি, ওজন (সম্ভব্য মাংস) ও নিজ মোবাইল নম্বর দিয়ে দিচ্ছে। ক্রেতারা তা দেখার পর যোগাযোগ করে পশু ক্রয় করছেন।
এ বিষয়ে আলাপকালে মো. সুমন নামের এক খামারি বলেন, করোনার ভয়ে এবার গরুই উঠাইনি। যাওবা উঠেছে তার দাম পাবো কিনা তাতে সন্দেহ আছে। তবে ধারণা করা যায় চলতি বছর কোভিড-১৯-এর কারণে গত বছরের তুলনায় মানুষ পশু কোরবানি দিবে কম।
এ বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, অন্যান্য বছরের ন্যায় চলতি বছর যেখানে সেখানে গরুর হাট বসানো যাবে না। এবার বরিশাল নগরীতে দুটি স্থায়ী এবং চারটি অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে। অন্য বছরের মতো এবারও জেলার উল্লেখযোগ্য পশুর হাটগুলো হলো সদর উপজেলার চরমোনাই গরুর হাট, বাকেরগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়া গরুর হাট, বানারীপাড়ার গুয়াচিত্রা গরুর হাট এবং গৌরনদী উপজেলার কসবা গরুর হাট।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল আলম জানান, জেলায় প্রাণী সম্পদ বৃদ্ধিতে আগের চেয়ে অবস্থা উন্নীত হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের তরুণ ব্যবসায়ীরা পশু খামারের ব্যবসায় ঝুঁকছে। এ অঞ্চলে চাহিদার বড় সরবরাহ আসে চরাঞ্চলে কৃষকদের পালিত পশু থেকে।
এছাড়া বরিশাল জেলার স্থানীয় খামার এবং গৃহস্থের পশুও আসছে বরিশলের হাটগুলোতে। বরিশালে কোরবানির পশুর চাহিদার ৮০ ভাগ যোগান হয় স্থানীয়ভাবে। বাকি ২০ ভাগ আসে আশপাশের জেলা থেকে।