বাসস ক্রীড়া-১০ : ওল্ড ট্রাফোর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা তিন জয়

147

বাসস ক্রীড়া-১০
ক্রিকেট-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওল্ড ট্রাফোর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা তিন জয়
সাউদাম্পটন, ১৫ জুলাই ২০২০ (বাসস) : করোনা পরবর্তী ক্রিকেট ফেরার ম্যাচে সাউদাম্পটন টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারায় সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ক্যারিবীয়রা। সিরিজের এগিয়ে থেকে আগামী ম্যানেচেষ্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলতে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লক্ষ্য সিরিজ নিশ্চিত করা। তাহ’লে ইংল্যান্ডের মাটিতে ৩২ বছর পর টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ নিতে পারবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজে রেকর্ড মোটামুটি ভালোই। ১৫ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৫টি জয়, ৬টি হার ও ৪টি ম্যাচে ড্র করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিনটি সেরা জয়ের দিকে চোখ বুলানো যাক।
১৯৬৬ সালে সফরে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টেই ইনিংস ও ৪০ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৮৪ রান করে তারা। ওপেনার স্যার কনার্ড হান্ট ১৩৫ ও ঐ ম্যাচে দলের অধিনায়ক স্যার গ্যারি সোর্বাস ১৬১ রান করেন।
জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার ল্যান্স গিবসের ঘুর্ণিতে পড়ে ইংল্যান্ড। ফলে ১৬৭ রানেই প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে ফলো-অনে পড়ে ইংলিশরা। গিবস ৫টি উইকেট শিকার করেন।
ফলো-অনে পড়েও নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। আবরো গিবসের ঘুর্নিতে পড়ে স্বাগতিকরা। গিবসের ৫ উইকেট শিকারে এবার ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ২৭৭ রানে।
১৯৭৬ সালে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে লড়াই করার সুযোগই দেয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের সাবেক কোচ স্যার গর্ডন গ্রিনিজ, স্যার ভিভ রিচার্ডস, মাইকেল হোল্ডিং ও স্যার এন্ডি রবার্টসের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে ৪২৫ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রথম ইনিংসে গ্রিনিজ একাই ব্যাট লড়াই করেন। এক প্রান্ত আগলে ১৩৪ রান করেন তিনি। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান আসে কলিস কিংএর ব্যাট থেকে। গ্রিনিজের ১৩৪ রানে ২১১ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এই সংগ্রহ নিয়েই লড়াই করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা। হোল্ডিং ১৭ রানে ৫ ও রবার্টস ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে ৭১ রানেই গুটিয়ে দেন। ফলে প্রথম ইনিংস থেকে ১৪০ রানের লিড নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এই লিডকে সাথে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বড় সংগ্রহই পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেন গ্রিনিজ। ১০১ রান করেন তিনি। তার সাথে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন রিচার্ডস। ১৩৫ রানে আউট হন রিচার্ডস। গ্রিনিজ ও রিচার্ডসের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৪১১ রানে ইনিংস ঘোষনা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে ম্যাচ জয়ের জন্য ৫৫২ রানের বিশাল টার্গেট পায় ইংল্যান্ড।
ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে রবার্টসের বিধ্বংসী বোলিং-এ বড় ইনিংস খেলার কোন সুযোগ পায়নি ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। রবার্টস ৩৭ রানে ৬ উইকেট নেন। আর ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১২৬ রানে। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজের প্রথম দুই টেস্ট ড্র হয়েছিলো।
১৯৮৮ সালে ডান-হাতি পেসার ম্যালকম মার্শালের বোলিং তোপে সিরিজে ডাবল লিড নিতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ইনিংস ও ১৫৬ রানে জয় পায় ক্যারিবীয়রা। মার্শাল দ্বিতীয় ইনিংসে ২২ রানে ৭ উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে ১৩৫ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। এই ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে কোর্টনি ওয়ালশ ৪টি, মার্শাল-কোর্টলি অ্যামব্রোস-উইনস্টোন বেঞ্জামিন ২টি করে উইকেট নেন।
ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের রান টপকে যেতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু দলের কোন ব্যাটসম্যানই সেঞ্চুরির স্বাদ নিতে পারেননি। তারপরও ৭ উইকেটে ৩৮৪ রানে ইনিংস ঘোষনা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে প্রথম ইনিংসে ২৪৯ রানের লিড পায় ক্যারিবীয়রা।
পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে মার্শালের তোপে ৯৩ রানে অলআউট ইংল্যান্ড।
বাসস/এএমটি/১৯৩২/স্বব