বাসস দেশ-২৮
ডিএনসিসি-জরিমানা
ডিএনসিসির ৮৭ স্থাপনায় লার্ভা, ২ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
ঢাকা, ১৩ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : নগরীর ৮৭টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ২ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেগু থেকে সুরক্ষা দিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে বিশেষ পরিছন্নতা অভিযান বা চিরুনি অভিযানের আজ নবম দিনে এ জরিমানা করা হয়।
ডিএনসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৩ হাজার ৩১টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা পরিদর্শন করে মোট ৮৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭ হাজার ৬৭১টি স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে ১৯টি মামলায় মোট ২ লাখ ৭ হাজার ৪শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৪ জুলাই থেকে ১০ দিনব্যাপী শুরু হওয়া চিরুনি অভিযানে আজ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা পরিদর্শন করে মোট ৮৫০টিতে এডিসের লার্ভা এবং ৭১ হাজার ৩৩৬টিতে এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত ১৫১টি মামলায় মোট ২০ লাখ ২২ হাজার ৯১০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আজ উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ১ হাজার ৪৭১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২১টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ১ হাজার ১০৩টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
মিরপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৫৩৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩৮২টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১১টি মামলায় মোট ১ লক্ষ ২৩ হাজার ২শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।
মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৫০৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৯০৯টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৪২৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭৫৮টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ৩৪টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৫২৯টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৩২৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৯৭৩টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৮৯৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৭৩২টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) মোট ৬১৫টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এবং ৪৬১টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় এবং মাস্ক না পরায় মোট ৬টি মামলায় ৪ হাজার ২শ’ টাকা জরিমানা করা হয়
ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৫০৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ২৭৯টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৭২৩টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫৪৫টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
চিরুনি অভিযান চলাকালে সম্ভাব্য সকল এডিস মশার প্রজননস্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৯৩২/এএএ