নারী পাচারকারী চক্রের মূলহোতা আজমসহ তিনজন গ্রেফতার

245

ঢাকা, ১২ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : নারী পাচারকারী চক্রের মূলহোতা আজমসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি’র প্রধান ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, গত ৮ বছরে এ চক্র এক হাজারেরও বেশি তরুণী- কিশোরীকে দুবাইয়ে হোটেলে চাকরি দেয়ার নাম করে বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মূলহোতা আজম, ময়না ও মো. আলামিন হোসেন ওরফে ডায়মন্ড।
সিআইডি ইতিমধ্যে এসব ঘটনায় আসামিদের জড়িত থাকার অডিও ক্লিপ উদ্ধার করছে ।
আজ রোববার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম প্রধান ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ এসব তথ্য জানান।
এসময় সিআইডির বিভিন্ন পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিআইডি প্রধান জানান, আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের সদস্যরা প্রথমে হোটেলে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২০ থেকে ২২ বছরের তরুণীদের প্রলুব্ধ করতো। এরপর তারা বিশ্বস্ততা অর্জনে ওই তরুনীদেরকে মাসিক বেতন হিসেবে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নগদ পরিশোধও করতো।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, দুবাইয়ে যাওয়ার সব ধরনের খরচও দিত দালাল চক্র। কিন্তু দুবাই যাওয়ার পর তাদেরকে হোটেলে জিম্মি করে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসাসহ ডান্স ক্লাবে নাচতে বাধ্য করা হতো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, এখন পর্যন্ত নারী পাচারকারী চক্রের মূলহোতা আজমের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ছয়টি হত্যা মামলা।
তিনি বলেন, দুবাইতে আজমের বিলাসবহুল হোটেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। সে ফরচুন পার্ল হোটেল অ্যান্ড ড্যান্স ক্লাব, হোটেল রয়েল ফরচুন, হোটেল ফরচুন গ্রান্ড ও হোটেল সিটি টাওয়ারের অন্যতম মালিক। এরমধ্যে তিনটি ফোর স্টার একটি থ্রি স্টার মানের।
জিঞ্জাসাবাদে আজম সিআইডির কাছে স্বীকার করে যে সে গত আট বছরে বাংলাদেশ থেকে এক হাজারেরও বেশি তরণীকে দুবাই পাচার করেছে।