চট্টগ্রামে নতুন করোনা পজিটিভ ১০৫ জন

166

চট্টগ্রাম, ১২ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে আরো ১০৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু মিলেছে। কক্সাজারের একটিসহ মোট সাতটি ল্যাবের চারটিতে সর্বশেষ ৪২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এ ফলাফল পাওয়া যায়।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নিয়মিত রিপোর্টের অংশ হিসেবে আজ রোববার সকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বাসসকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নমুনা কম হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যালসায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের কোনো নমুনা গতকাল পরীক্ষা করা হয়নি।
তিনি বলেন, সিভাসুতে নমুনা আসে ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি থেকে। তাদের ওখানে গত দু’দিন নমুনা কম থাকায় নিজেরাই পরীক্ষা শেষ করেছে, সিভাসুতে পাঠায়নি। ইম্পেরিয়ালে শুক্রবারে কোনো নমুনা নেয়া হয়না। তাই শনিবার তাদের কোনো রিপোর্টও থাকেনা। এছাড়া, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার নমুনা কক্সাজার মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। গতকাল সেখানে নমুনা পাঠানো হয়নি। এসব কারণে নমুনা কম হয়েছে।
তিনি জানান, বাকী চারটি ল্যাবে ৪২৫টি নমুনায় পজিটিভ হয়েছেন ১০৫ জন। এদের মধ্যে নগরের ৬১ জন এবং উপজেলার ৪৪ জন। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ জন মৃত্যুবরণ করেন। সুস্থ হয়ে ৩৭ জন বাড়ি ফিরে যান। আজকের রিপোর্টসহ চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১১ হাজার ৪৯০ জন।
ল্যাবভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ১১৬টি নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ হন ২০ জন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১০২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৭৮টি নমুনা পরীক্ষায় ১৪ জন করোনা পজিটিভ হন। বেসরকারি শেভরন ক্লিনিকে ১২৯টির মধ্যে ২৮টি নমুনায় করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়।
সিভিল সার্জন বলেন, গত ১০ দিন ধরে করোনা পজিটিভের হার কমে এসেছে। আগে যেখানে ৩০ শতাংশের ওপরে আসতো এখন সেখানে ২০ শতাংশের কাছাকাছি থাকছে। এটি ইতিবাচক। তাই বলে এখনই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে রাজি নন তিনি। বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে তীক্ষè নজর রাখছি। আসন্ন ঈদুল আজহার সময়টিতে খুব সচেতন থাকতে হবে। কোরবানির আগে-পরের সময়টি সন্তোষজনক ভাবে পার করতে পারলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে বিশ্বাস করি।’