সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থির অবনতি

268

সুনামগঞ্জ, ১২ জুলাই, ২০২০(বাসস): জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সুরমা নদীর পানি দুপুর ১২ টায় সুনামগঞ্জ শহরের পাশের পয়েন্ট দিয়ে বিপদ সীমার ৪২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ছাতকে এর চেয়েও বেশি উচ্চতায় বিপদ সীমার ১৭৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে সুরমা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৫০ মিলিমিটার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, উজানে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আরও পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।
গত তিন দিন হয় সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। নি¤œাঞ্চলের অনেক ঘর বাড়িতে আবার পানি ওঠেছে। শহরের নবীনগর, ষোলঘর, উকিলপাড়া, উত্তর আরপিননগরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সুরমা নদীর পানি কূল উপচে প্রবেশ করেছে। জেলার শিল্পশহর ছাতকসহ এ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান জানিয়েছেন, দুপুর ১২ টায় সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি বেশি হয়েছে। চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৫২৩ মিলিমিটার। সুনামগঞ্জের
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব কয়টি উপজেলায় বন্যা তথ্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, বন্যার্তদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। লাগাতার দু’দফা বন্যায় সুনামগঞ্জের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, এবারের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এজন্য ১১ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের যত বেশি সম্ভব বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য. গত ২৮ ও ২৯ জুন ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জের নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলা দোয়ারা, ছাতক, সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ ও তাহিরপুর বন্যা কবলিত হয়। ওই বন্যার পানি নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি থেকে নামতে না নামতেই আবারও এসব উপজেলায় লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।