সিলেট ও সুনামগঞ্জে পানি বাড়ছে, ফের বন্যার আশঙ্কা

200

সিলেট, ১০ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : ভারতের পাহাড়ি ঢল ও সিলেট অঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জে আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আজ শুক্রবার (১০ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর পানি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৭ সেন্টিমিটার, জৈন্তাপুর উপজেলার সারি নদী সারিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩সেন্টিমিটার,কানাইঘাট উপজেলায় সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৫সেন্টিমিটার, সুরমা নদী সুনামগঞ্জ জেলার ষোলঘর পয়েন্টে বিপদসীমার ২১সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জের জাদুকাটা নদী লাউরের গড় পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে আবারও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ভারতের মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাত,সিলেট এবং সুনামগঞ্জে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জে ১৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শহরের নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। শহরের উত্তর আরপিন নগর ও নবীনগর এলাকায় পানি প্রবেশ করায় সেখানকার রাস্তাঘাটে পানি উঠে গিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো সাবিবুর রহমান জানান,টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ ফের বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করে বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় অব্যাহতভাবে পানি বাড়ায় জেলার নিম্নাঞ্চলে ঝুঁকি বাড়ছে,কিছু কিছু এলাকার বাড়িঘরে পানি উঠার কারনে লোকাজন আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন।শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ শহরের সরকারি কলেজকে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে কিছু লোক সপরিবারে আশ্রয় নিয়েছেন। নিম্নাঞ্চলগুলোতেও আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে।