বাসস দেশ-৩৪ : রপ্তানি বাণিজ্য ও প্রবাসী শ্রমিকদের চাকুরি সুরক্ষায় আইএলওকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান শ্রম প্রতিমন্ত্রীর

370

বাসস দেশ-৩৪
শ্রম প্রতিমন্ত্রী-আইএলও
রপ্তানি বাণিজ্য ও প্রবাসী শ্রমিকদের চাকুরি সুরক্ষায় আইএলওকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান শ্রম প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ৯ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : করোনা সংকটকালে রপ্তানি বাণিজ্য এগিয়ে নেয়া, ক্রেতাদের ক্রয় আদেশ বহাল রাখা, প্রবাসী শ্রমিকদের চাকুরি এবং দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলোকে সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাকে (আইএলও) উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
আজ রাত সোয়া ৮ টায় আইএলও গ্লোবাল সামিট অন কোভিড -১৯ এন্ড ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক-বিল্ডিং এ বেটার ফিউচার অব ওয়ার্ক সম্মেলনে ‘কোভিড -১৯: ওয়ার্কিং টুগেদার টু বিল্ড ব্যাক বেটার” সেশনে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে সদস্য দেশগুলোর শ্রমমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় তিনি এ আহবান জানান।
করোনা মহামারি সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নেয়া বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি সংকটের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ৩১ দফা নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা হিসেবে অর্থনৈতিক ও সমাজের বিভিন্ন সেক্টরের মানুষকে সহযোগিতা করতে ১২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী করোনা মোকাবেলায় তাঁর মন্ত্রণালয়ের নেয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, শ্রমিকদের জন্য টেলিমেডিসিন সেবা চালু এবং আইএলও এর সহযোগিতায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, করোনা মহামারী সংকটের কারণে ক্রয় আদেশ বাতিল হওয়ার কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানী অপ্রত্যাশিতভাবে কমে গেছে। অনেক মালিক কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
করোনা সংকট মোকাবেলায় প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় চারটি বিষয় তুলে ধরে বলেন, তৈরি পোশাকের ক্রেতারা যাতে তাদের ক্রয় আদেশ বাতিল না করে এবং বিদ্যমান চুক্তি পুরণে দায়িত্বশীল হয় এ বিষয়ে আইএলও’র এগিয়ে আসা উচিত।
এছাড়া করোনা মহামারীর সময়ে প্রবাসী শ্রমিকদের চাকুরি নিশ্চতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় বাজারে প্রবেশ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
তিনি বলেন, চলমান চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে আইএলও’র শততম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঘোষণাপত্র এবং এজেন্ডা ২০৩০ অর্জনে সদস্য দেশগুলোর একসাথে কাজ করা জরুরি। করোনা পরবর্তী সময়ে আরো ভাল ভবিষ্যত তৈরিতে ত্রিপক্ষীয় সামাজিক সংলাপকে আরো গুরুত্ব দিতে হবে।
বাসস/সবি/এমএআর/২১৩৫/এবিএইচ