ডিএনসিসিতে ১০০ স্থাপনায় লার্ভা, সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা

221

ঢাকা, ৮ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : নগরীর ১শ’টি স্থাপনায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সংশ্লিস্টদের সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি)।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে বিশেষ পরিছন্নতা অভিযান বা চিরুনি অভিযানের আজ পঞ্চম দিনে এ জরিমানা করা হয়।
ডিএনসিসি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ১৩ হাজার ১১৯টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ১০০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭ হাজার ৮৮০টি স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে ২৪টি মামলায় মোট ৩ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
৪ জুলাই ১০ দিনব্যাপী শুরু হওয়া চিরুনি অভিযানে আজ পর্যন্ত মোট ৬৬ হাজার ৩০৫টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৪৬৭টিতে এডিসের লার্ভা এবং ৪০ হাজার ৩৯৪টিতে এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ চারদিনে ৯৪টি মামলায় মোট ১১ লাখ ৫৩ হাজার ১০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আজ উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ৮০৫ টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া গেলে ৩টি মামলায় মোট ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৬৮৫টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
মিরপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৭১৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩৭৬টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া াম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৭টি মামলায় মোট ১ লাখ ৫০ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৬৪৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ৯০টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৭টি মামলায় ১ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৫০৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭৬৮টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ১৮টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৫৯৩টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৪৫৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ১৮১টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৯৫৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৭২৩টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) মোট ৭৫৬টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তবে ৪৮৩টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৫৩৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ৩৭৪টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৭২২টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৬০৭টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
চিরুনি অভিযান চলাকালে সম্ভাব্য সকল এডিস মশার প্রজননস্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।