বাজিস-৩ : জয়পুরহাটে কোরবানীর জন্য দেড় লাখ পশু মজুদ

116

বাজিস-৩
জয়পুরহাট-পশু মজুদ
জয়পুরহাটে কোরবানীর জন্য দেড় লাখ পশু মজুদ
জয়পুরহাট, ৮ জুলাই, ২০২০(বাসস) : ঈদ-উল-আযহা উদযাপনের লক্ষ্যে জেলায় এক লাখ ২০ হাজার চাহিদার বিপরীতে কোরবানীর জন্য ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৮৭টি পশু মজুদ রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পশুর হাটবাজারগুলোতে গরু ছাগল ঊঠলেও কেনা-বেচা তেমন জমে উঠেনি।
জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোটাতাজা করণ কর্মসূচির আওতায় খামারীদের নিকট বর্তমানে ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৮৭টি পশু মজুদ রয়েছে। যা দিয়ে জেলার কোরবানীর চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩০ হাজার পশু থাকবে অতিরিক্ত। ছোট বড় মিলে জেলায় ১১ হাজার ৪৭৪টি পশুর খামারে বিক্রয় উপযোগী মজুদ পশুর মধ্যে গরু ও মহিষ রয়েছে ৬১ হাজার ২২৪ টি, ছাগল ও ভেড়া রয়েছে ৮৬ হাজার ৬৩টি । ছোট বড় মিলে জেলায় পশুর হাট রয়েছে ২২টি।
জেলা শহরের সবচেয়ে বড় পশুরহাট নতুনহাট ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতা ও ইজাদারের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, সর্বনি¤œ ৩০ হাজার থেকে শুরু করে উপরে ১২ লাখ টাকার গরু আমদানী হলেও বেচা-কেনা তেমন শুরু হয়নি বলে জানান, নতুনহাট পশুহাটের ইজারাদার কালীচরণ আগরওয়ালা ও জাহিদ ইকবাল।
গ্রামীণ পর্যায়ে গরু-ছাগলের খামার তৈরিতে সরকারের নানামুখী আয় বর্ধন মূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে সাধারণ মানুষ এখন অভাবকে দূরে ঠেলে দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন গরু-ছাগলের খামার করে। স্থানিয় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা ’জাকস ফাউন্ডেশন’ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ কর্মসূচির আওতায় ৪৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করেছে।
জেলার নতুনহাট, জামালগঞ্জ, পাঁচবিবি, দূর্গাদহ, বটতলী, ইটাখোলা, পুনট, আক্কেলপুর কোরবানীর পশুরহাট সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে কোরবানীর পশুরহাট তেমন জমে উঠেনি তবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট থেকে কিছু গরু ব্যবসায়ী এসেছেন স্বল্প পরিসরে গরু কেনা শুরু করেছেন। বাজারে ১১০ থেকে ১২০ কেজি মাংস হবে এমন গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা।
জেলার পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের কৃষক অভিজিৎ চক্রবর্তী গরুর দাম হাকছেন ৬ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে ক্রেতারা দাম করেছেন ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বলে জানান তিনি। গরুটির ওজন ৯শ কেজি। করোনা পরিস্থিতির কারণে ক্রেতা সমাগম কম হওয়ায় খামারীরা চিন্তিত বলে জানান কুঠিবাড়ি ব্রীজ এলাকার খামারী দুলু মিয়া ও বনখুর গ্রামের জয়। গরুর পাশাপাশি ছাগলও ঊঠেছে বাজারে। ১৫ থেকে ২৫ কেজি মাংশ হবে এমন ছাগল ৩৫ হাজার থেকে ৪৫ হাজার পর্যন্ত দাম করতে দেখা গেছে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দ্রুত সময়ে যাতে পশু ক্রয় করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য ইজাদারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান, জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহফুজুর রহমান।
গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রাণীসম্পদ বিভাগের ভ্যাটেনারী সার্জনের নেতৃত্বে ৩ থেকে ৫ সদস্যের টীম সার্বক্ষণিকভাবে দায়িত্ব পালন করবে বলেও জানান তিনি। বাজারের আইন-শৃংখলা রক্ষায় পশুর হাট কমিটির পক্ষ থেকে মাইকে সতর্কতামূলক প্রচার চালানোর পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির বলেন, আইন-শৃংখলা বাহিনীর কড়া নজরদারী রয়েছে হাটবাজারগুলোতে। হাটবাজারগুলোতে ভারতীয় গরু এখনো চোখে পড়েনি। দেশের অন্যান্য জেলা বিশেষ করে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকে আগত ব্যবসায়ীরা গরু কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
বাসস/সংবাদদাতা/১২০৫/নূসী