বাসস ক্রীড়া-৪ : এভারটনকে ১-০ গোলে পরাজিত করেছে টটেনহ্যাম

104

বাসস ক্রীড়া-৪
ফুটবল-প্রিমিয়ার লিগ
এভারটনকে ১-০ গোলে পরাজিত করেছে টটেনহ্যাম
লন্ডন, ৭ জুলাই ২০২০ (বাসস) : সোমবার প্রিমিয়ার লিগে এভারটনকে ১-০ গোলে পরাজিত করেছে টটেনহ্যাম হটস্পার। কিন্তু ম্যাচের জয়ের আনন্দ কিছুটা হলেও ম্লান হয়েছে স্পার্স গোলরক্ষক হুগো লোরিস ও দক্ষিণ কোরিয়ান তারকা স্ট্রাইকার সন হেয়াং-মিনের বিরোধে।
বিরতির সময় টানেল দিয়ে ড্রেসিং রুমে যাবার সময় সনের সাথে উতপ্ত বাক্য বিনিময় করেন ফরাসী গোলরক্ষক লোরিস । সনও তখন অনেকটাই রাগান্বিত হয়ে উঠলে দুজনকে আলাদ করে দেন সতীর্থরা। এই ঘটনার জেরে হ্যারি উইঙ্কস ও মুসা সিসোকোও একে অপরের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। মূলত মধ্যমাঠে একটি লুজ বল ধরতে ব্যর্থ হয়েছিলেন সন। সেই ঘটনাটি মোটেই মেনে নিতে পারেননি লোরিস।
ম্যাচ শেষে লোরিস বলেছেন, ‘আমি মনে করি বিরতির ঠিক আগে আমরা ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেছি। বিষয়টি আমাকে বিরক্ত করে তুলেছিল।’
ঘটনাটিতে কোন খেলোয়াড়ই শান্ত না হওয়ায় ম্যানেজার হোসে মরিনহো বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করেন। তবে লন্ডনে নিজেদের মাঠে করোনা পরবর্তী মৌসুমে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নেবার পর শেষ পর্যন্ত লোরিস ও সন একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে একসাথে মাঠত্যাগ করেন।
লোরিস বলেছেন, ‘এটা শুধুমাত্র ড্রেসিং রুম পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। যা হয়েছে সেটা ফুটবলেরই একটি অংশ, এমনটা মাঝে মাঝে হতেই পারে। সত্যি কথা বলতি কি এই ধরনের পরিস্থিতিতে আমরা কেউই খুশী না। সঠিক ভাবে সবাইকে এগিয়ে যাবার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের লক্ষ্যের প্রতি গুরুত্ব দেয়া। শুধুমাত্র একটি দল হিসেবেই আমরা সেটা করতে পারবো। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা প্রমান করেছি আমরা একসাথে সবাই আছি। এখানে মোটেই কোন ধরনের সমস্যা নেই। ম্যাচ শেষে সবাই সেটার প্রমান পেয়েছে।’
ম্যাচের ২৪ মিনিটে গিওভানি লো সেলসোর শট থেকে এভারটনের ডিফেন্ডার মাইকেল কিনের ডিফ্লেকটেডে আত্মঘাতি গোলে স্পার্সদের জয় নিশ্চিত হয়। এটি ছিল প্রিমিয়ার লিগে মরিনহোর ২০০তম জয়। ম্যাচ শেষে মরিনহো অবশ্য এই জয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছে। কারন এই জয়টা তাদের প্রাপ্য ছিল। ম্যাচ শেষে টটেনহ্যাম বস বলেছেন, ‘এটা সত্যিই দারুন একটি বিষয়। হতে পারে আমাদের টিম মিটিংয়ের ফল। কেউ যদি কাউকে দোষারোপ করতে চায় তবে সেটা আমাকে করাই ভাল। আমি সকলের কাছ থেকে সেরাটা আশা করেছিলাম। এই দলটি আমার কাছে এজন্যই প্রিয় যে এখানে অসাধারণ কিছু ছেলে রয়েছে। মৌসুমের শেষে আমরা একটি কাপই জিততে পারি, সেটা হলো ‘ফেয়ার প্লে কাপ’। যা আমি কখনই জিতিনি এবং আমার সেটা জেতার আগ্রহও নেই। আজ যা ঘটেছে সেটা মাঠে নয়, যা কিছু হয়েছে পুরোটাই ড্রেসিং রুমে।’
সব ধরনের প্রতিযোগিতায় গত ১০ ম্যাচে দ্বিতীয় জয় দিয়ে টটেনহ্যাম প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে। সপ্তম স্থানে থাকা উত্তর লন্ডনের প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের থেকে তারা এক পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে।
আগের কোচ মরিসিও পোচেত্তিনোর অধীনে গত মৌসুমেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলেছিল স্পার্সরা। এবার ইউরোপা লিগে খেলার জন্য নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। গতকালকের জয়ের মাধ্যমে ২০০৯-১০ মৌসুমের পর অন্তত পুরো ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতা থেকে বের হয়ে যাবার শঙ্কা এড়িয়েছে স্পার্সরা।
২০১২ সালের পর এভারটন কখনই টটেনহ্যামকে হারাতে পারেনি। গত চার ম্যাচে প্রথম এই পরাজয়ে হয়তবা এভারটনের এবারের ইউরোপীয়ান আশা শেষ হয়ে যেতে পারে।
বাসস/নীহা/১৬৪৩/স্বব