বাসস দেশ-২৬ : যে কোন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ টেকসই ও মান সম্পন্ন হতে হবে : তাজুল

129

বাসস দেশ-২৬
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী- প্রকৗশল
যে কোন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ টেকসই ও মান সম্পন্ন হতে হবে : তাজুল
ঢাকা, ৬ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : দেশের উন্নয়নে নেয়া যে কোন প্রকল্পের কাজ অবশ্যই গুণগত মানের ও টেকসই হতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষ থেকে দেশের ১২ জেলার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নেয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের খোঁজ-খবর নিতে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীদের সঙ্গে অনলাইন সভায় এ কথা বলেন।
দেশে নি¤œমানের আর কোন কাজ হতে দেয়া হবে না বলে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তা-ঘাট, সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন সহ ছোট বা বড় যে কোন প্রকল্প নেয়া হোক তা মানসম্মত ও টেকসই হতে হবে। মানুষকে উন্নয়নের সুফল দিতে হলে যে কোন কাজ টেকসই ও কোয়ালিটি সম্পন্ন হতে হবে।
মানসম্মত কর্মকান্ড নিশ্চিত করতে গিয়ে কেউ কোন প্রতিকূলতার সম্মুখীন হলে মন্ত্রণালয় তা শক্ত হাতে মোকাবেলা করবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে আর নিম্মমানের কোন কাজ করতে দেয়া হবে না।
মন্ত্রী বলেন, কেউ যদি নিম্মমানের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কেউ কোন ধরনের ঝুঁকি ও সমস্যার সম্মুখীন হলে তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
তাজুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর পরিশ্রমকে বাস্তব রূপ দিতে মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল প্রতিষ্ঠানকে দেশের উন্নয়নে একযোগে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
সারাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে মন্ত্রণালয় নিবিড়ভাবে জড়িত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন অনেকাংশেই স্থানীয় সরকার বিভাগের ওপর নির্ভর করে।
তিনি বলেন, প্রতি বছর বর্ষাকালে অতিবর্ষণ ও উজান থেকে পানি এসে অনেক চরাঞ্চল তলিয়ে যায়। এতে বাড়ি-ঘর, ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়। এসব মোকাবেলা করেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান অংশ গ্রহণ করেন।
বাসস/সবি/এমএএস/২০০০/এবিএইচ