বাসস দেশ-২৩ : ডাইফের জেন্ডার রোডম্যাপ অনুমোদন

138

বাসস দেশ-২৩
ড্ইাফ-জেন্ডার রোডম্যাপ -অনুমোদন
ডাইফের জেন্ডার রোডম্যাপ অনুমোদন
ঢাকা, ৬ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : জেন্ডার রোডম্যাপ প্রণয়ন ও অনুমোদন করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডাইফ)।
রোববার এই রোডম্যাপের চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে বলে অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় বলে আজ বাসসকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)’র আরএমজি প্রকল্প এ রোডম্যাপ প্রণয়নে কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছে ।
রোড ম্যাপ চূড়ান্ত করতে গত রোববার অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাহানারা বেগম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরির্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক (সেইফটি) প্রকৌশলী ফরিদ আহাম্মদ, যুগ্ম মহাপরিদর্শক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান আইএলও’র কর্মকর্তা মিস্টার ফলার, মুনিরা সুলতানা, ও শারমিন সুলতানা।
শিবনাথ রায় জানান, কর্মক্ষেত্রে জেন্ডার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা রোধ এবং নারীর ক্ষমতায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ডাইফকে একটি জেন্ডার সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে দশ বছর মেয়াদী (২০২০-২০৩০) এই রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়।
তিনি বলেন, নারীদের প্রতি শোভন আচরণ, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি, নারী-পুরুষ সমান মজুরি, মাতৃত্বকল্যাণ সুবিধা, শিশুকক্ষ স্থাপন ইত্যাদি বিষয় দেখাশোনা করার জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা হিসেবে জেন্ডার সংবেদনশীল কর্মপরিবেশ সৃজনে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি দপ্তর, কারখানার বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে জেন্ডার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। শ্রম পরিদর্শকগণ পরিদর্শনকালে জেন্ডার বিষয়টিকে এখন আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে তদারকি করছেন। তিনি জেন্ডার রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সংম্লিষ্ট সকল দপ্তর ও সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান ।
ভিডিও কনফারেন্সে অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (স্বাস্থ্য) মো. মতিউর রহমান জেন্ডার রোডম্যাপের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরেন।
এতে বলা হয়, জেন্ডার রোডম্যাপে ৮টি স্ট্র্যাটেজিক ডিরেকশন এবং ৫৮টি একটিভিটি রয়েছে। এই রোডম্যাপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সমতা বিধান এবং শোভন কর্মপরিবেশ সৃষ্টির টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনেকাংশেই সহজ হয়ে যাবে। এই রোডম্যাপ বাস্তবায়নের ফলে কর্মক্ষেত্র পরিদর্শকালে জেন্ডার ইস্যু তদারকি ও মালিকগণকে পরামর্শ প্রদানে শ্রম পরিদর্শকগণ অধিকতর সক্ষমতা অর্জন করবে।
বাসস/সবি/এমএআর/১৯০৭/আরজি