টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে ২ মাদক বিক্রেতা নিহত

255

ঢাকা, ৬ জুলাই, ২০২০ (বাসস): টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছে।
এ সময় বিজিবি’র অভিযানে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড বিদেশি পিস্তলের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক বাজার মূল্য এক কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা বলে জানা যায়।
টেকনাফ বিজিবি ২ ব্যাটালিয়লের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়।
নিহতরা হলেন, মো. আলম (২৬) ও মো. ইয়াসিন (২৪)।
আলমের পিতার নাম, মো. কফি। তিনি কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে থাকতেন। ইয়াসিনের পিতার নাম মো. এরশাদ আলী। তিনিও একই উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে থাকতেন।
রোববার দিবাগত রাতে টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, হৃীলা বিওপি’র সংলগ্ন স্থানীয় অবরাং গ্রামের নানীরবাড়ি (স্থানীয় নাম) এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের বিশেষ টহলদল ওই এলাকায় নাফ নদীর তীরে ওৎ পেতে থাকে। রাত ১১টার দিকে টহলদল দেখতে পান, দুই থেকে তিনজন সাঁতরিয়ে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। সাঁতরিয়ে নদীর কিনারায় উঠার সাথে-সাথে টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে তারা নদীর কিনারা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিকভাবে টহলদল তাদের ধাওয়া করলে সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা অতর্কিতভাবে বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করতে থাকে। টহলদল সরকারি সম্পদ ও নিজেদের জানমাল রক্ষার স্বার্থে পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ৪ থেকে ৫ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থলে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাদের দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরবর্তীতে আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় দুইজন বিজিবি সদস্য আহত হন। আহত বিজিবি সদস্যদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সাঁতরিয়ে আসা অপরজন গুলি করতে করতে কেওড়া বাগানের ভিতর দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
মাদক পাচারের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।