বাসস ক্রীড়া-১৫ : হেডিংলি টেস্ট জয় আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে সিমন্সকে

227

বাসস ক্রীড়া-১৫
ক্রিকেট-সিমন্স
হেডিংলি টেস্ট জয় আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে সিমন্সকে
লন্ডন, ৫ জুলাই ২০২০ (বাসস) : ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে সর্বশেষ সফর করেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে ক্যারিবীয়রা। তবে ঐ সিরিজে সুখস্মৃতিও রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। হেডিংলিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৩২২ রানের টার্গেট শেষদিনের শেষ সেশনে স্পর্শ করে ম্যাচ জিতেছিল জেসন হোল্ডারের দল। শাই হোপের অপরাজিত ১১৮ রানের উপর ভর করে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-১ সমতা আনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ঐ টেস্টের স্মৃতিই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চলতি সফরে আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে মনে করছেন দলের কোচ ফিল সিমন্স।
বার্মিংহাম টেস্ট দিয়ে ২০১৭ সালের সফর শুরু করেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঐ টেস্ট ইনিংস ও ২০৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে ক্যারিবীয়রা।
অবশ্য পরের টেস্টে দারুনভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হেডিংলিতে জয় তুলে সিরিজে সমতা আনে তারা। তবে লর্ডসে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট ৯ উইকেটে হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয় ইংল্যান্ড।
এ সপ্তাহেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরু করছে ওয়স্ট ইন্ডিজ। সাউদাম্পটনে সিরিজের প্রথম টেস্টের আগে আত্মবিশ্বাসী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কারন ২০১৭ সালে হেডিংলি টেস্ট জয়, তাদের আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে বলে জানান সিমন্স।
দ্য ক্রিকেটকে সিমন্স বলেন, ‘ঐ সফরের প্রথম টেস্টে আমাদের পারফরমেন্স খুবই বাজে ছিলো। আমার মনে হয় বেশির ভাগ সফরের শুরুটা এমনই হয়। তবে আমরা এটা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করেছিলাম, খারাপ ম্যাচ যেন ভুলে যাই এবং ঘুড়ে দাঁড়াতে পারি। এবারও আমরা বিশ্বের অন্যতম সেরা টেস্ট দলের বিপক্ষে খেলছি। আমাদেরকে এগিয়ে থেকে শুরু করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি হেডিংলি টেস্টের স্মৃতিচারণ করতে এবং মানসিকভাবে ঠিক থাকতে। ঐ টেস্টের স্মৃতি আমাদের সাহস দিচ্ছে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমনে আছেন- শ্যানন গাব্রিয়েল, কেমার রোচ, আলজারি জোসেফ, জেসন হোল্ডার। গেল কয়েক বছর ধরে ক্যারিবীয় বোলাররা দারুন ক্রিকেট খেলছে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা টেস্টে নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না। তাই ব্যাটসম্যানদের কাছে বড় ইনিংস চাইছেন সিমন্স।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, বাটসম্যানদের উপর নির্ভর করছে দলের সাফল্য। তারা এবার কঠোর পরিশ্রম করেছে। বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানই ইংল্যান্ডে রান করতে মুখিয়ে আছে। ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলতে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকাটাই বড় বিষয়। কারণ এখানে খেলা অন্য অনেক জায়গার চেয়ে আলাদা। আগামী তিন দিন আমরা নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে আরও কাজ করবো। কিন্তু মানসিকভাবে শক্ত থাকাটা খুবই জরুরি।’
গত সফরে হেডিংলি টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন শাই হোপ। হোপের কাছ থেকে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি প্রত্যাশা করছেন সিমন্স। তিনি জানান, ‘হেডিংলি টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলো শাই হোপ। আশা করছি, হোপ এবারও তেমন কিছু করে দেখাবে। শুধু হোপ নয়, অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেললেই বোলাররা, লড়াই করার সুযোগ পাবে।’
জীবাণুমক্ত ও দ্ধদার স্টেডিয়ামে আগামী ৮ জুলাই থেকে সাউদাম্পটনে শুরু হবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট।
বাসস/এএমটি/১৯২৮/স্বব