বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সীমান্তবর্তী অসহায় ও হতদরিদ্র জনসাধারণের কর্মসংস্থানে বিজিবি’র উদ্যোগ

440

ঢাকা, ৫ জুলাই, ২০২০ (বাসস): জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সিলেট সেক্টরের উদ্যোগে জেলার সীমান্তবর্তী অসহায় ও হতদরিদ্র জনসাধারণের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সিলেট বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আহমেদ ইউসুফ জামিল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সীমান্তবর্তী অসহায় ও হতদরিদ্র জনসাধারণের বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে “আলোকিত সীমান্ত” প্রকল্পের আওতায় তাদের মধ্য হতে আগ্রহী জনসাধারণকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে উদ্যোক্তা নির্বাচনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দা ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড হ্রাসের ফলে সীমান্তবর্তী এলাকার জনসাধারণ কর্মহীন ও অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বিশেষত করোনা পরিস্থিতিতে তাদের জীবন-জীবিকা আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এই উপলব্ধি বিবেচনায় নিয়ে সীমান্তবর্তী জনগণকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত রাখা অতীব জরুরী বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধ নিরুৎসাহিত করার জন্য সীমান্তবর্তী এলাকার জনসাধারণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি তথা অর্থনৈতিকভাবে তাদেরকে স্বাবলম্বী করতে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রতিনিধিসহ এনজিও সমূহকে সম্পৃক্ত করার পদক্ষেপ আরো জোরদার করা হচ্ছে।
সীমান্তবর্তী মানুষকে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা গেলে পাশর্^বর্তী দেশের সীমান্ত অতিক্রমের প্রচেষ্টা হ্রাস পাবে এবং সীমান্তে অনাকাংখিত হত্যার ঘটনাও কমে আসবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
গত ২৩ মে হতে আজ পর্যন্ত সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ এবং জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী জনসাধারণ গরু ও সুপারি চোরাচালান, আনারস, কাঁঠাল চুরি ইত্যাদি কারণে অবৈধভাবে এবং অসৎ উদ্দেশ্যে সীমান্ত পার হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে গমনাগমনের মাত্রা সম্প্রতি বেড়েছে। বিগত ৩ মাসে এ জাতীয় অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সীমান্ত অপরাধের দরুণ ভারতীয় খাসিয়া নাগরিক এবং বিএসএফের গুলির আঘাতে সীমান্তবর্তী এলাকার ৮ জন আহত এবং ৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধকল্পে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি’র টহল জোরদারের পাশাপাশি
স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদেরকে সম্পৃক্ত করে ব্যাপক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া অনাকাঙ্খিত সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিএসএফকে প্রতিবাদলিপি প্রেরণ এবং হত্যাকান্ডে জড়িত খাসিয়া নাগরিকদের আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।