বাসস দেশ-২৭ : পুষ্টিমানের দিকে লক্ষ্য রেখে উৎপাদন বাড়ালে পুষ্টিহীনতা ও ওজন কম হ্রাস পাবে

410

বাসস দেশ-২৭
ব্র্যাক-সেমিনার
পুষ্টিমানের দিকে লক্ষ্য রেখে উৎপাদন বাড়ালে পুষ্টিহীনতা ও ওজন কম হ্রাস পাবে
ঢাকা, ২৩ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা খাদ্যবৈচিত্র্য ও পুষ্টিমানের দিকে লক্ষ্য রেখে উৎপাদন বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, গ্রামীণ জনপদে শস্য ও খাদ্যবৈচিত্র্য এবং পুষ্টিমানের বিষয়টি পরস্পর ঘনিষ্টভাবে সম্পর্কিত।
‘বাংলাদেশের পুষ্টি উন্নয়নে কৃষির ভূমিকা’- শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেন, খাদ্যবৈচিত্র্য এবং পুষ্টিমানের দিকে লক্ষ্য রেখে উৎপাদন বাড়ালে কম ওজন ও পুষ্টিহীন জনসংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে।
আন্তর্জাতিক গবেষণা অংশীদার ল্যাভারেজিং এগ্রিকালচার ফর নিউট্রিশন ইন সাউথ এশিয়া (লানসা) ও ব্র্যাক যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে জানানো হয়, দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যেখানে খর্বকায় শিশুর সংখ্যা ৩০.৯ শতাংশ, সেখানে হাওরে এই হার ৪৬.৬ শতাংশ। হাওরে কম ওজনের শিশুর হার ৪৪.৫ শতাংশ। অথচ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে এই হার ৩৪.১ শতাংশ। আবার বন্যাপ্রবণ এলাকায় পরিবারপিছু আয় অন্য এলাকার পরিবারের চেয়ে ১৬ শতাংশ কম। জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততা ও স্বতন্ত্র ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে হাওর ও উপকূলীয় এলাকায় এ চিত্র লক্ষ্যণীয়।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গর্ভনেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলে ওয়াহিদ খন্দকার। ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশনের পরিচালক ডা. সমীর কান্তি সরকার ও ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের সাবেক পরিচালক প্রফেসর আব্দুল বায়েস সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে ফজলে ওয়াহিদ খন্দকার বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই লক্ষ্য অর্জন ও সামগ্রিক উন্নয়নে প্রক্রিয়ায় কৃষি হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই মুহূর্তে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব, শ্রমিক দুষ্প্রাপ্যতা, বন্যা ও আকস্মিক বন্যা, শিলা বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস ও অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে বাংলাদেশের কৃষি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে।
তিনি বলেন, কৃষি সরাসরি খাদ্য ও পুষ্টির সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই আমরা এখন টেকসই কৃষি ব্যবস্থা ও পুষ্টি নিরাপত্তার দিকে লক্ষ্য রেখে বিশেষভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তবে এ লক্ষ্য পূরণে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
সমীর কান্তি সরকার বলেন, অন্যান্য শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্য শিক্ষাও জরুরি। পুষ্টি নিশ্চিত করতে খাদ্য জ্ঞান থাকতে হবে। ইমরান মতিন বাংলাদেশের পুষ্টি উন্নয়নে তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এগুলো হচ্ছে- এ বিষয়ক তথ্যপ্রাপ্তিকে আরও সহজতর করা, কৃষককে প্রণোদনা দেয়া এবং মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/২০১০/- জেজেড