গার্ড অব অনার দেয়া চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকে উড়িয়ে দিল ম্যানসিটি

244

ম্যানচেস্টার (যুক্তরাজ্য), ৩ জুলাই ২০২০ (বাসস/এএফপি) : ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের নতুন চ্যম্পিয়ন লিভারপুলকে ধ্বসিয়ে দিল সদ্য সিংহাসনচ্যুত হওয়া ম্যানচেস্টার সিটি। ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে সদ্য শিরোপা জয় করা জার্গেন ক্লাপের শিষ্যদের।
লীগের ৭১ ম্যাচের মধ্যে এটি ছিল লিভারপুলের তৃতীয় পরাজয়। সিটির হয়ে একে একে গোল করে আগামী মৌসুমের শিরোপা ফিরিয়ে আনার জানান দিয়েছেন কেভিন ডি ব্রুইনা, রাহিম স্টার্লিং ও ফিল ফোডেনরা। যদিও প্রথমার্ধ থেকেই তাদের ঠেকিয়ে রাখতে চেয়েছিল অল রেডরা।
অপরদিকে ক্লপের দলকে আরো বেশী বিব্রত করেছে অ্যালেক্স অক্সালেড চেম্বারলিনের আত্মঘাতি গোল। তবে ওই জয়েও টেবিলের শীর্ষ পয়েন্টধারী লিভারপুলের সঙ্গে এখনো ২০ পয়েন্টের ব্যবধানে রয়েছে সিটিজেনরা।
খেলা শেষে লিভারপুল কোচ ক্লপ বলেন,‘ আমি জানতাম তারা মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখাবে। আমি দেখলাম ছেলেরা প্রানপন লড়াই করেছে। কেউ মানবেনা যে আমি এসে বলব এইযে আমি এখানে, কাউকে পরোয়া করি না। কিন্তু আমরা বেশ ভালভাবেই পরোয়া করেছি। তবে এর অনুভুতি ভাল হবার নয়। আমার ক্ষেত্রেও তেমনটিই ঘটেছে। বিশে^ যদি লিভারপুলকে বিধ্বস্ত করার মত কোন দল থাকে তবে সেটি হচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে আমরা আবার আসব।’
ম্যাচের শুরুতে নতুন চ্যাম্পিয়ন সফরকারী লিভারপুলকে গার্ড অব অনার দেয়া ম্যান সিটি। তবে মাঠের লড়াইয়ে তারা ঝেড়ে দিয়েছে শিরোপা না পাওয়ার যন্ত্রনা। সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন,‘ আমি ছেলেদের দেখলাম তাদের গার্ড অব অনার দিতে। তবে তারা খেলার প্রতি এতটাই মনোযোগি ছিল যে ধন্যবাদ জানাতেও ভুলে গিয়েছিল। এই কারণেই তারা ইউরোপ ও প্রিমিয়ার লীগের চ্যাম্পিয়ন শিরোপা লাভ করেছে। আগের সপ্তায় তারা হয়তো প্রচুর বিয়ার পান করেছে। তবে এখানে বিয়ার ছাড়াই আমাদের সঙ্গে লড়াই করতে এসেছে।’
২৫তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে সিটিকে এগিয়ে নেন ডি-ব্রুইনা। স্টার্লিংকে জোসেফ গোমেজ ফাউল করার কারণে পেনাল্টি পেয়েছিল সিটি (১-০)। ৩৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্টার্লিং। গাব্রিয়েল জেসুসের পাস থেকে বল পেয়ে ফোডেন বাড়িয়ে দেন স্টালিংয়ের দিকে। বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে তিনি জাল খুঁজে নেন (২-০)। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ফোডেন নিজে গোল করলে ৩-০ গোলের লীড নিয়ে বিরতিতে যায় স্বাগতিক দল। ডি-ব্রুইনাকে বল বাড়িয়ে মার্কারকে এড়িয়ে ঢুকে পড়েন ডি-বক্সে। বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের কাছ থেকে ফিরতি পাস পেয়ে গোল করেন তিনি (৩-০)।
বিরতির পর ৬৬তম মিনিটে ব্যবধান আরও বেড়ে যায় সিটিজেনদের। ডি- ব্রুইনার পাস থেকে বল পেয়ে স্টার্লিংকে কোনাকুনি শট নিলে সেটি ঠেকাতে চেয়েছিলেন চেম্বারলিন। কিন্তু ওই ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে দিক পাল্টে বল নিজেদের জালেই জড়িয়ে যায় (৪-০)।