বিশ্বে ৫ বছরে ২০ শতাংশ ই-বর্জ্য বৃদ্ধি পেয়েছে : জাতিসংঘ

221

প্যারিস, ৩ জুলাই, ২০২০ (বাসস ডেস্ক) : বৈদ্যুতিক বর্জ্য পাঁচ বছরে ২০ শতাংশ বেড়ে গত বছর ৫০ মিলিয়ন টন ছাড়িয়েছে। প্রযুক্তি নির্মাতারা বিশ্বের এই ক্রমবর্ধমান বর্জ্য সমস্যা এড়িয়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ এ কথা জানায়।
ছুঁড়ে ফেলা স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ওয়াশিংমেশিন ও রেফ্রিজারেটরের মতো ঘরের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির যন্ত্রাংশ এ সব বর্জ্য বিষয়ে জাতিসংঘের বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়, প্রতিবছর যে পরিমান ই-বর্জ্য হচ্ছে তার মূল্য ৫৫ বিলিয়ন ডলার (৫০ বিলিয়ন ইউরো)।
২০১৯ সালে ৫৩ মিলিয়ন টন ই-বর্জ্যরে মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশ পুনব্যবহারের উপযোগী করা হয়, বাকিটা স্তুপ করে অথবা ভাগাড়ে রাখা হয়।
রিপোর্টে বলা হয়, ডিভাইসগুলোর স্বল্পমেয়াদ এবং রিসাইকেল অবকাঠামোর অভাবে ই-বর্জ্য ক্রমাগত বাড়ছে।
আন্তর্জাতিক সলিড ওয়াস্ট এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এন্তোনিস মাভরোপুলস বলেছেন, ‘বিশ্বের জনসংখ্যার তুলনায় ই-বর্জ্য তিন গুণ এবং গত পাঁচ বছরে বিশ্বের জিডিপি’র তুলনায় ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এটি স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বিত অর্থনীতি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য এ বিষয়টিতে নজর দেয়া জরুরি।
২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি ২৪.৯ মিলিয়ন টন ই-বর্জ্য তৈরি হয়েছে এশিয়ায়, এরপরে আমেরিকায় ১৩.১ মিলিয়ন টন, ইউরোপে ১২ মিলিয়ন টন এবং আফ্রিকা ও ওশেনিয়ায় যথাক্রমে ২.৯ এবং ০.৭ মিলিয়ন টন বর্জ্য তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ই-বর্জ্যে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে।