কিংস্টন, ২ জুলাই ২০২০ (বাসস) : ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আগে বির্তকে জড়ালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্র্রধান কোচ ফিল সিমন্স। তাকে বরখাস্ত করার দাবি তুলেছেন বার্বাডোজ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কনডে রিলে। কারন ম্যানচেস্টারে টিম হোটেলে ‘জীবাণুমুক্ত’ পরিবেশ থেকে বেরিয়ে গত শুক্রবার একটি শেষকৃত্যে যোগ দেন সিমন্স। অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের অনুমতি নিয়েছিলেন সিমন্স। করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে সিমন্সের এমনটি করা উচিত হয়নি বলে জানান রিলে।
বুধবার ইএসপিএনক্রিকইনফো’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সিমন্সকে বরখাস্ত করার ব্যাপারে ওয়েস্ট উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে ই-মেইল করেছেন রিলে।
তিনি বলেন, ‘রেডিওতে শুনলাম, স¤প্রতি প্রধান কোচ সিমন্স একটি শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বর্তমানে স্বেচ্ছা-আইসোলেশনে আছেন তিনি। খবরটা যদি সত্যি হয়, তবে প্রধান কোচের পদ থেকে তাকে অপসারণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। বোকার মত কাজ করেছেন সিমন্স। শেষকৃত্যে গিয়ে ইংল্যান্ড সফরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৫ ক্রিকেটার ও ম্যানেজমেন্টের সবার জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলেছেন সিমন্স।’
তবে বোর্ড প্রেসিডেন্ট রিকি স্কেরিট এক ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, ‘আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট সমর্থকদের নিশ্চিত করতে চাই, ফিল সিমন্সের প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের পুর্ন সমর্থন আছে, কে কি বলল তাতে কিছু আসে যায়না।’
দ্বিতীয়বার ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সিমন্স এক বিবৃতিতে বলেন,‘ আমার পরিবারের জন্য সমসয়টা মোটেই সহজ যাচ্ছে না। আমার স্ত্রী তার বাবার সঙ্গে খুবই ঘনিস্ট ছিল এবং তার মৃত্যু আমাদের ব্যথিত করেছে। ঐ শেষ কৃত্য অনুষ্ঠানে আমার না যেয়ে কোন উপায় ছিলনা।
শেকৃত্যে থেকে ফেরার পর দুই দফায় কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয় সিমন্সের। দু’বারই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে সিমন্সের। তারপরও স্বেচ্ছা-আইসোলেশন শেষে আগামীকাল থেকে দলের অনুশীলনে যোগ দিতে পারবেন তিনি। তাই গেল কয়েকদিন সিমন্সকে ছাড়া অনুশীলন করেছে হোল্ডার-রোচরা। সিমন্সের পরিবর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের দেখভাল করেছেন সহকারী কোচ রডি ইস্টউইক, রেয়ন গ্রিফিথ এবং ব্যাটিং কোচ ফ্লয়েড রেইফার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার সয়ক্ষিপ্ত সময়ে সিমন্সের অনুপুস্থিতিতে কোন সমস্যা দেখছেন না।
তিনি বলেন, ‘ ফিলকে যা করতে বলা হয়েছে তা তিনি করেছেন এবং এবং আমি কোন সমস্যা দেখছি না।’
আগামী ৮ জুলাই থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। প্রথম টেস্ট সামনে রেখে ইতোমধ্যে নিজেদের মধ্যে দু’টি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলেছে ক্যারিবীয়রা।