বাসস দেশ-৭ : চট্টগ্রামে হোম আইসোলেশনের করোনা রোগীদের ফোনে চিকিৎসা-পরামর্শ

131

বাসস দেশ-৭
চট্টগ্রাম -রোনা রোগী
চট্টগ্রামে হোম আইসোলেশনের করোনা রোগীদের ফোনে চিকিৎসা-পরামর্শ
চট্টগ্রাম, ১জুলাই, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে হোমআইসোলেশনে থাকা করোনা রোগীদের নিয়মিত ফোনে চিকিৎসা ও পরামর্শ দিচ্ছে সিভিলসার্জন অফিস। এ জন্য ৬ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল রয়েছে। টিমের সদস্যরা প্রতিদিন রুটিন করে করোনা আক্রান্তদের সাথে ফোনে আলাপ করেন।
রিয়াজুদ্দিনবাজার এলাকার ইকবাল নামে একজন রোগী বাসসকে জানান, ‘চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি গত ২৯ জুন সকাল সাড়ে ১১ টায় তাকে ফোন করেন। তিনি কয়েকদিন আগে করোনার নমুনা দিয়েছিলেন। সিভিল সার্জন ফোন করে জানান তিনি করোনা পজিটিভ।
ইকবাল বলেন, ‘সিভিল সার্জন আমার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান। আমি তাঁকে বিস্তারিত জানাই। এতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে আমাকে আরোকিছু মূল্যবান পরামর্শ দেন। তিনি যেকোনো প্রয়োজনে সরাসরি তাঁকে ফোন করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, মনোবল হারালে চলবেনা। আপনি এখন প্রায় সেরেউঠেছেন। তবে কোনোভাবে ঘর থেকে এখন বের হওয়া যাবেনা।’
সার্সন রোড এলাকার মইনউদ্দিন নামে এক রোগী বাসসকে জানান, ‘গতকাল মঙ্গলবার সকালে সিভিলসার্জন অফিস থেকে এক মহিলা ডাক্তার তাকে ফোন করে জানিয়েছেন তার নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তিনি আমার অসুস্থতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেন এবং বেশকিছু স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে এসব মেনে চলার অনুরোধ করেন। অন্তত আরো ১০ দিন ঘরে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।’
করোনা পজিটিভ দু’জনের তথ্যের ভিত্তিতে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আজ বাসসকে জানান, ‘নমুনা পরীক্ষায় যাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাদের সাথে কথা বলার জন্য আমার অফিসে ৬ সদস্যের একটি টিম রয়েছে। এরা রোগীকে প্রথমে তার রিপোর্ট সম্পর্কে জানান এবং হোম আইসোলেশনে থাকলে রোগীর শারীরিক অবস্থা ও চলমান চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নেন। চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি থাকলে তা শুধরে দেন। শারীরিক অবস্থা খারাপ মনে করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।’
ডা. রাব্বি বলেন, ‘এ টিম ঘরে চিকিৎসাধীন পুরনো রোগীর ফলোআপও করে থাকে। রুটিন করে এটা করা হয়। রোগীকেও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের নম্বর দেয়া হয় এবং রোগী তার প্রয়োজন মুহূর্তে যোগাযোগ করে করণীয় জেনে নিতে পারেন।’
এ প্রক্রিয়াঅনুসরণ করে সুফল পাচ্ছেন জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘প্রথমত রোগীর ভয় কেটে যায় অনেকাংশে। কম উপসর্গের রোগী অনেক সময় ঘরে থাকতে চান না। কিন্তু আমার অফিস থেকে ফোনে মনিটরিং করার কারণে অনেকে ঘরে থাকতে বাধ্য হন। এছাড়া, রোগী ফোনে তার চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ পেয়ে যাওয়ায় সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের এ অফিসটির সাথে জন সম্পৃক্ততা বাড়ছে।’
বাসস/কেএস/কেসি/১৩৫০/অমি