বাসস দেশ-৩০ : বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

228

বাসস দেশ-৩০
পররাষ্ট্রমন্ত্রী-আহ্বান
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
ঢাকা, ৩০ জুন, ২০২০ (বাসস) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রকে সেদেশের আইডিএফসি ফান্ডের আওতায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন।
তিনি গতকাল (সোমবার) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এর সাথে ফোনে আলাপাকালে এ আহবান জানান। আলাপাকলে উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দেন। আজ এক তথ্যবিবরণীতে একথা বলা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনতে চায়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জোনে যুক্তরাষ্ট্রকে বিনিয়োগের আহবান জানান তিনি। হাইটেক পার্ক, তথ্য প্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনবল এবং বিপুল সংখ্যক শ্রমিকের সহজলভ্যতার কারণে এ দেশে বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
ড. মোমেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে দু’বছর শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা ক্রয়াদেশ বাতিল করায় এ খাতে কর্মরত শ্রমিকরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে যার অধিকাংশ মহিলা।
মাইক পম্পেও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র করোনা মহামারি মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সাহায্যের জন্য ৪৩ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। তিনি করোনা মাহামারি মোকাবেলায় বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। মানবপাচার রোধে টিআইপি রিপোর্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ধাপে উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন পম্পেও।
মিয়ানমারের বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রকে আরো দৃঢ় ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান ড. মোমেন। তাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে চুক্তি বাস্তবায়নে মিয়ানমার সময় ক্ষেপণ করছে। সম্প্রতি রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তার দেশ রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা হিসেবে ৮২০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত এনে তার শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাইক পম্পেওকে অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
ড. মোমেন বলেন, করোনা সারা পৃথিবীকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এ সমস্যা মোকাবেলায় পৃথিবীর সকল দেশের পারস্পারিক অংশীদারিত্ব প্রয়োজন। এ বিষয়ে পারস্পারিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন।
বাসস/তবি/এমএন/২০০২/এবিএইচ