দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে এফবিসিসিআই ও সিআইআইয়ের সমঝোতা স্মারক সই

859

ঢাকা, ২৯ জুন, ২০২০ (বাসস) : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দু’দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) ও কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) সমঝোতা স্মারক সই করেছে। এর পাশাপাশি কোভিড-১৯ অতিমারি পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও উদীয়মান ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ‘অপর্চুনিটিজ এন্ড চ্যালেঞ্জেস’ শিরোনামের ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারতের কেন্দ্রিয় পররাষ্ট্র ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী ভি মুরলীধরন। এতে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
ফাহিম বলেন, ‘যুগ যুগ ধরেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মানবতার একটি সম্পর্ক রয়েছে। আর এই মানবিকতার অবদান রেখে চলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাদের নেতৃত্বে আমরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করতে পারছি।’
তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার সম্পর্ক উন্নয়নে একটি নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। যার ইতিবাচক ও উজ্জ্বল উদাহরণ হলো ২০১৯ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৯ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হওয়া।
সার্ক কোভিড-১৯ জরুরী তহবিল থেকে বাংলাদেশকে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার প্রদান করায় তিনি ভারতীয় নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
এফবিসিসিআই উভয় দেশে বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বেশ কিছু শক্তিশালী খাত চিহ্নিত করেছে বলে তিনি জানান।
ভারতের কেন্দ্রিয় পররাষ্ট্র ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী ভি মুরলীধরন বলেন,দক্ষিণ-এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বন্ধত্বপূর্ণ দেশ হলো বাংলাদেশ। উভয় দেশের নেতারা বেশ কয়েকটি অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যা দুই দেশের আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন,আমরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মধ্যে একটি ফলপ্রসু সম্পর্ক ধরে রাখতে পেরেছি। যা উভয় দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস বলেন,‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি ও রফতানি বাড়াতে উভয় দেশের মধ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হচ্ছে। সেই উন্নয়ন কাঠামোকে কেন্দ্র করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে শক্তিশালী করতে আরো কিছু বিকল্প মাধ্যম রয়েছে। এর বড় উদাহরণ হতে পারে, দুই দেশের মধ্যে রেল নেটওয়ার্ক তৈরি। রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পণ্য রফতানি ও আমদানির ক্ষেত্রে উভয় দেশ লাভবান হবে।’
ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্র’র (আইবিসিসিআই) প্রেসিডন্ট আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বাণিজ্যিক ভাবে দুই দেশের মধ্যে যে বন্ধত্ব সৃষ্টি হয়েছে,তাতে উভয় দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন,ভারত ও বাংলাদেশ এমন দেশ যারা সাধারণ বিষয়গুলো একে অন্যের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়। আমরা দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের মঙ্গলের জন্য আমাদের একাত্বতাকে আরো বাড়াতে চাই।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মুহাম্মদ ইমরান,সিআইআই মহাপরিচালক চন্দ্রজিৎ ব্যানার্জি, এক্সিম ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড রাসকুইনহা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।