সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি : ১৮ উপজেলা প্লাবিত

393

সিলেট, ২৮ জুন ২০২০ (বাসস) : সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহড়ী ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিলেট জেলার ৮টি ও সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে এসব এলাকার কয়েক লাখ মানুষ পানি-বন্দী হেেয় পড়েছে। কয়েকটি উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, সুরমা নদীর পানি সবক’টি পয়েন্টেই বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩ দশমিক ৩৬ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টে ১০ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার এবং সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। একইসঙ্গে গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট সদর, গোলাপগঞ্জ উপজেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে মানুষের আবাসঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ। এমনকি সিলেট শহরের বেশ কিছু আবাসিক এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। সদর উপজেলায় বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে সুরমা ও জাদুকাটা নদীর পানি বিপদসীমার প্রায় ১ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সুনামগঞ্জের সবক’টি উপজেলা ও পৌরসভা প্লাবিত হয়েছে। শাল্লা, ছাতক, দোয়ারা ও তাহিরপুর উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বাসস’কে জানিয়েছেন,বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য সিলেট জেলায় ২শ’ ৬৬ মেট্রিকটন চাল, এবং শুকনো খাবারের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আজ রোববার থেকে তা বিতরণ করাও শুরু হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ খেকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে । করোনা (কভিড-১৯) পরিস্থিতি মাথায় রেখে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী।