পাবনায় সজিনা চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে

407

পাবনা, ৩ এপ্রিল ২০১৮ (বাসস) : সাজিনা গাছের কাঠের কোনো গুণ না থাকলেও ভেষজ গুণ সম্পন্ন ফুল, ফল, পাতা সবজি হিসেবে অতি প্রিয় একটি খাবার। বর্তমানে সারাদেশে সাজিনার চাহিদা ব্যাপক। ফলে পাবনায় সজিনার চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে।
বসন্তের শুরুতে সজিনা গাছ ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। এর কয়েকদিন পরেই দেখা যায় ফুলের বদলে সজিনার ডাঁটা। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হওয়ায় এবার পাবনায় গাছে গাছে সজিনা ডাঁটায় ভরে গেছে।
এখন শুধু বাড়ির আঙ্গিনা নয়, সজিনা আবাদ এখন ক্ষেত খামারেও চলে গেছে। সময় পরিক্রমায় এবং চাহিদা থাকায় বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা ফসলি জমিতে সজিনার চাষ করছেন। পরিকল্পিতভাবে সজিনার চাষ করে লাভবানও হচ্ছেন অনেকে। ফাল্গুনের শেষ ও চৈত্রের শুরুতে কচি সজিনার ডাঁটা খাওয়ার উপযোগী হয়। মৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি ৩/৪শ’ টাকা দরে বিক্রি হলেও শেষ সময়েএসে দাম হয় দ ২০/৩০ টাকা। প্রাথমিক পর্যায়ে তুলতুলে কচি নরম সজিনার ডাঁটা অধিক দামের কারণে অধিকাংশ লোক খেতে পারেন না।
পাবনা সদর উপজেলার নারানপুরের আছিয়া খাতুন জানান, আগে বাড়িতে খাবারের জন্য সজিনা লাগাতাম। গত বছর বাড়িতে খাবারের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করেছি। এবার গাছে প্রচুর সজিনার ডাঁটা হয়েছে। আশা করছি সজিনা বিক্রি করে ভালো অর্থ পাবো।
একই এলাকার স্বপন কুমার জানান, আগে বাড়ির মধ্যে সজিনা গাছ লাগানো হলেও এখন আবাদি জমিতে এবং জমির আইলে গাছ লাগানো হচ্ছে। সজিনা চাষে তেমন কোনো ব্যয় করতে হয় না এবং রোগ বালাইও কম। তবে ফুল আসার পর এবং সজিনা ধরার পর কীটনাশক স্প্রে করলে আরো ভালো হয়।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক মো. ইমরান হোসেন জানান, সজিনা বসন্ত প্রতিরোধ এবং রক্ত পরিশুদ্ধকরণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদেয়। এটি ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়াও জন্ডিস, মূত্র সংক্রান্ত সমস্যায় সজিনার নানা অংশ ব্যবহার করা হয় ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিভূতি ভূষন সরকার জানান, সজিনা একটি লাভজনক ফসল এবং এটির ওষুধি গুণাগুণও রয়েছে। পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সজিনা বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে।