ফ্রান্সে রেলকর্মীদের তিন মাসব্যাপী ধর্মঘট : কঠিন পরীক্ষার মুখে ম্যাঁক্রো

396

প্যারিস, ৩ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস ডেস্ক) : ফ্রান্সের রেল কর্মীরা মঙ্গলবার থেকে তিন মাসের ধর্মঘট শুরু করেছে। একে দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রোর সংস্কার কার্যক্রমের পথে একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
খবর এএফপি’র।
ফরাসী সরকারের বড়ো ধরণের সংস্কার পরিকল্পনার প্রতিবাদ জানাতে বেশ কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের আহ্বানে তিন মাসের এই ধর্মঘট পালন শুরু হয়েছে।
এই ধর্মঘট দেশটির ৪৫ লাখ ট্রেন যাত্রীর জন্য চরম ভোগান্তি ডেকে আনবে।
ম্যাঁক্রো রাষ্ট্রীয় রেল পরিচালনাকারী সংস্থা এসএনসিএফ এ বড় ধরনের সংস্কারের পরিকল্পনা বাতিল না করলে পর্যন্ত ২৮ জুন পর্যন্ত সপ্তাহে পাঁচ দিনের মধ্যে দুই দিন কর্মবিরতি পালন করা হবে।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে রেল শ্রমিকদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এয়ার ফ্রান্সের স্টাফ, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও শক্তি খাতের কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনও মঙ্গলবার পৃথকভাবে কর্মবিরতি পালন করছে।
ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র এগার মাসের মধ্যেই ম্যাঁক্রোকে এই কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়েছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ৪০ বছর বয়সী সুদর্শন প্রেসিডেন্টের ব্যাপক সংস্কার পরিকল্পনার প্রতিবাদ জানাতে অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগী, শিক্ষার্থী ও সরকারি কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেল ধর্মঘট শুরু হলেও সংবাদ মাধ্যম মঙ্গলবারকে কালো দিন বর্ণনা করেছে।
আটটি দ্রুতগামী টিজিভি ট্রেনের মধ্যে মাত্র একটি এবং পাঁচটি আঞ্চলিক ট্রেনের মধ্যে একটি নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে।
এতে দেশব্যাপী অফিসগামী মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
লন্ডন ও ব্রাসেলসগ্রামী এউরোস্টার ট্রেনের এক-তৃতীয়াংশ চলাচল করবে। এছাড়া বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডগামী থালিস ট্রেন চলাচল প্রায় স্বাভাবিক থাকবে।
তবে স্পেন, ইতালি অথবা সুইজারল্যান্ডে কোন ট্রেনই চলাচল করবে না।
এয়ার ফ্রান্সে ৭৫ শতাংশ ফ্লাইট পরিচালিত হবে। যদিও প্রতিষ্ঠানটিতে মজুরি নিয়ে পঞ্চম দফা ধর্মঘট চলছে। ৭, ১০ ও ১১ এপ্রিল পরবর্তী কর্মবিরতির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
ম্যাঁক্রো বলেছেন, ২০২০ সাল নাগাদ ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হলে এই মুহূর্তে রেল খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন জরুরি। তার সরকারের মতে, ইউরোপের অন্যান্য দেশের চেয়ে ফ্রান্সে ট্রেন চালাতে সরকারের ৩০ শতাংশ বেশি ব্যয় হয়।