মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে কোটা পদ্ধতি বহাল রাখতে হবে: শাজাহান খান

409

ঢাকা, ২২ জুলাই, ২০১৮ (বাসস): নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বহাল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালে সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন শুরু করেছিল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে এখন ষড়যন্ত্র করছে। তারা কোটা সংস্কারের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা বাতিলের ষড়যন্ত্র করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে হবে।’
‘শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ’ এবং ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন’-এর আহবায়ক ও নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে ৬-দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘গণস্বাক্ষর’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করে।
শাজাহান খান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা এবং স্বাধীনতা বিরোধিদের নির্মূল করতে ৬-দফা দাবি বাস্তবায়ন করা হবে।
শাজাহান খান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুট করেছিলো তারা এবং তাদের অনুসারীরাই প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা কোনমতেই যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবির এবং তাদের রক্ষাকারী বিএনপি ও তাদের সহকর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে দেবনা।’
শাজাহান খান বলেন, স্বাধীনতা বিরোধিরা কখনই দেশের উন্নয়ন চায়নি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধি চক্র ক্ষমতায় এসে তাদের পছন্দের লোকদের সরকারি চাকুরি দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। রাজাকারদের বিচার, জঙ্গি দমন, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, জামায়াত-শিবির দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনা। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রকারিদের প্রতিহত করতে হবে।
তিনি বলেন, রাজাকার-আলবদরসহ স্বাধীনতা বিরোধিদের তালিকা প্রণয়ন করে বাংলার মাটিতে তাদের কবর রচনা করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মিয়া ও সুলতান আহমেদ, নাট্য ব্যক্তিত্ব রোকেয়া প্রাচী, শ্রমিক লীগ নেতা সাহাবুদ্দিন মিয়া ও নুরুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. কামালউদ্দিন ও আবুল হোসেন প্রমুখ।