আমরা ছিলাম বিশ্বসেরা : লয়েড

223

কিংস্টন, ২৩ জুন ২০২০ (বাসস) : ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম দুই আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিলো যথাক্রমে ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালে। প্রথম দুই আসরে বাজিমাত করে বিশ্বসেরা মুকুট পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দু’বারই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়ক ছিলেন কিংবদন্তি খেলোয়াড় ক্লাইভ লয়েড। ঐ সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিলো বিশ্বসেরা দল, তাদেরকে হারানোর ক্ষমতা কোন দলের ছিলো না বলে দাবি করলেন লয়েড।
১৯৭৫ সালের প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ১৭ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফাইনালে ৮৫ বল মোকাবেলায় ১২টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন অধিনায়ক লয়েড।
এরপর ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে ৯২ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত শিরোপা জিতে নেয় ক্যারিবীয়রা। এই ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন ভিভ রিচার্ডস। ১১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৫৭ বলে অপরাজিত ১৩৮ রান করেন রিচার্ডস।
সত্তর-আশির দশকে বিশ্ব ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিল অপ্রতিরোধ্য এক দল। বিশ্বের কোন দলই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লড়াইয়ের ছিটেফটাও দেখাতে পারতো না। ৪৫ বছর এসে ঐ সময়ের স্মৃতি রোমন্থন করলেন লয়েড।
তিনি বলেন, ‘প্রথম বিশ্বকাপজয়ী আমার দলের সকল সদস্যদের কাছে সেটা স্মরণীয় দিন। জীবনের সেরা দিনগুলোর একটা এই দিনটি। গোটা টুর্নামেন্টে আমরা অপরাজিত ছিলাম। লর্ডসে জেতাটা ছিল অসাধারণ। পরপর দু’টো বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। আমাদের হাতে কাপ দেখতে যাঁরা এসেছিলেন, এটা ছিল তাঁদের জন্যও বড় পাওয়া।’
ঐ সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেমন ক্রিকেট খেলতো, তাতে কোন দলই লড়াই করতে পারতো না বলে জানান লয়েড, ‘আমরা ছিলাম বিশ্বসেরা একটি দল। আমাদের কেউ হারাতে পারতো না। বিশ্বের সব জায়গায় আমাদের সমীহ করা হত। ক্যারিবীয়ানে নানা ক্ষেত্রে, অনেক গ্রেটের জন্ম হয়েছে। আমরাও তার মধ্যে আছি। আমরা ছিলাম খেলায় সাফল্যের প্রতীক। আমাদের জয়গুলো ছিলো সমর্থকদের জন্য। শুধু আমাদের ক্রিকেটার বা দেশের জন্য নয়, আমাদের সাফল্য বিশ্বের নানা প্রাস্তের মানুষকে আনন্দ দিয়েছিলো।’