টেস্ট ক্রিকেটই আসল এবং চ্যালেঞ্জিং : গেইল

222

কিংস্টন, ২৩ জুন ২০২০ (বাসস) : টেস্টই, ক্রিকেটের আসল খেলা এবং চ্যালেঞ্জিং বলে মন্তব্য করলেন টি-২০ ক্রিকেটের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) অনলাইন শো ‘ওপেন নেটসে’ টেস্ট ক্রিকেটকে সেরা অভিজ্ঞতা হিসেবে মনে করছেন তিরি।
১৯৯৯ সালে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখেন গেইল। পরের বছর টেস্টে অভিষেক হয় তার। আর ২০০৬ সালে টি-২০ দিয়ে ছোট ফরম্যাট শুরু করেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে টি-২০ ক্রিকেটের এক নম্বর ব্যাটসম্যানের খেতাবটা গেইলের। ২০ ওভারের ক্রিকেটের জন্য নিজেকে ‘ইউনিভার্স বস’ হিসেবে মনেও করেন তিনি। মনে করাটা স্বাভাবিক। কারন ৪০৪ ম্যাচ খেলে ২২টি সেঞ্চুরি ও ৮২টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৩,২৯৬ রান করেছেন তিনি। অবশ্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি গেইল। ৫৮ ম্যাচে ২টি সেঞ্চুরি ও ১৩টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১,৬২৭ রান আছে তার।
তারপরও এই যুগে টেস্ট ক্রিকেটকেই আসল ও চ্যালেঞ্জিং বলছেন গেইল। এই ফরম্যাটে ১০৩টি ম্যাচে ১৫টি সেঞ্চুরি ও ৩৭টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৭,২১৪ রান করেছেন গেইল। দু’টি ট্রিপল সেঞ্চুরিও আছে তার। ২০০৫ সালে সেন্ট জোন্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩১৭ ও ২০১০ সালে গল-এ শ্রীলংকার বিপক্ষে ৩৩৩ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন গেইল।
২০১৪ সালে সর্বশেষ টেস্ট খেলেন গেইল। টেস্ট ক্রিকেটকে এখনো মিস করেন সেভাবে। যা তার জীবন গঠনে বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে।
ওপেন নেটস অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ভারতের ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালের সাথে অনলাইন আড্ডায় গেইল বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট হলো এই খেলাটার শেষ কথা। কীভাবে জীবনযাপন করতে হবে, তা টেস্ট ক্রিকেট খেলে বুঝতে পারার সুযোগ পাওয়া যায়। কারণ পাঁচ দিন টেস্ট খেলাটা খুবই কঠিন এক কাজ। এই ফরম্যাটে অনেক পরীক্ষা দিতে হয়। এখানে সব কাজ নিয়ম মেনে করতে হয়। নিয়মের বাইরে কিছু করার উপায় থাকে না। আপনার আশে-পাশে পরিবেশ বিপক্ষে চলে গেলেও, কীভাবে ঘুঁরে দাঁড়াতে হয় সেটির শিক্ষাও দিবে টেস্ট ক্রিকেট।’
ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে উঠার প্রধান ও একমাত্র মাধ্যম টেস্ট ফরম্যাট বলে মনে করেন গেইল। ক্রিকেট শেখার সবচেয়ে ভালো উপায়ও হলো, টেস্ট ফরম্যাট বলে জানান গেইল, ‘টেস্ট ক্রিকেটে নিজের দক্ষতা ও মানসিক দৃঢ়তার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ মিলবে। তবে এখানে নিজেকে উজাড় করে দিতে হবে এবং অনেক বেশি উপভোগ করতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটের মাধ্যমে অনেক কিছু দেখার বা শেখার উপায়ও তৈরি হবে। জীবনকে নতুনভাবে জানাও যাবে। আমি টেস্ট ক্রিকেট থেকে শিখতে পেরেছি, কোন কিছু নিজের মনের মত না হলেও, হাল ছাড়া যাবে না। কারন আরেকটি সুযোগ আসবেই। তাই ক্রিকেটার হতে হলে, কখনো হাল ছাড়া যাবে না।’’