বাসস দেশ-১৯
রাজাবাজার-লকডাউন
পূর্ব রাজাবাজারে লকডাউন বেড়েছে আরও ৭ দিন
ঢাকা, ২৩ জুন, ২০২০ (বাসস) : করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে পূর্ব রাজাবাজারের লকডাউন আরও ৭ দিন বাড়ানো হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম আজ রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে সংক্রামক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি উদ্বোধনকালে এ কথা জানান।
মেয়র বলেন, ‘লকডাউন ১৪ দিন থাকার কথা ছিল। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় আরও ৭ দিন বাড়ানো হচ্ছে। এই এলাকার জনগণকে লকডাউন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার জন্য আমি তাদের স্যালুট জানাই। পূর্ব রাজাবাজারের জনগণ যেভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছেন এটি একটি দৃষ্টান্ত। ভবিষ্যতে যেসব এলাকায় লকডাউন হবে এটি তার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, গৃহস্থালি বর্জ্যরে সাথে সংক্রামক বর্জ্য (যেমন ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস ইত্যাদি) মেশানো হলে আগামী ৭ জুলাই থেকে বাসাবাড়ি হতে সেই বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকে গৃহস্থালি বর্জ্যরে সাথে সংক্রামক বর্জ্য বা কোভিড বর্জ্য এক সাথে মিশিয়ে ফেলছি। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। করোনা যেমন ম্যানেজ করে চলছি, যেভাবে মাস্ক পরা শুরু করেছি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করছি, একইভাবে কোভিড বর্জ্য বা সংক্রামক বর্জ্য যাতে গৃহস্থালি বর্জ্যরে সাথে মেশানো না হয় সেদিকে সচেষ্ট থাকতে হবে।’
মেয়র জানান, সংক্রামক বর্জ্য পৃথকভাবে রাখার জন্য ডিএনসিসি প্রথমবারের মত ৩ লাখ ব্যাগ বিভিন্ন বাসাবাড়িতে বিতরণ করবে। পরবর্তীতে নগরবাসীকে নিজ উদ্যোগে ব্যাগ ক্রয় করে সংক্রামক বর্জ্য সংরক্ষণ করতে হবে। বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভসসহ অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী যত্রতত্র না ফেলে এই ব্যাগে সংরক্ষণ করবেন।
তিনি জানান, বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহকারী কর্মিরা প্রতি শনিবার এবং মঙ্গলবার এ সকল সংক্রামক বর্জ্য সংগ্রহ করবে। সংক্রামক বর্জ্য সংগ্রহ করে প্রতিটি অঞ্চলের একটি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে (এসটিএস) এনে রাখা হবে। সেখান থেকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মাতুয়াইলে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ডিসপোজাল করা হবে।
এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন উল্লেখ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই বর্জ্য যদি আমরা যত্রতত্র ফেলে কিংবা গৃহস্থালি বর্জ্যরে সাথে মিশিয়ে ফেলি তাহলে সংক্রমণ আরো বাড়ার আশংকা থাকে। আমরা আপাতত ৩ লাখ ব্যাগ বিনামূল্যে ডিএনসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিতরণ করবো। কাউন্সিলররা প্রতিটি ওয়ার্ডে এ বিষয়ে প্রচারণা চালাবেন। পূর্ব রাজাবাজার এলাকার যেসকল বাড়িতে করোনা আক্রান্ত রোগি রয়েছে তাদের প্রত্যেকের বাসায় ১০ টি করে ব্যাগ দেয়া হবে। স্বেচ্ছাসেবকরা এসকল ব্যাগ বাড়িবাড়ি দিয়ে আসবেন।’
লিফলেট, নোটিস বিতরণের মাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতনামূলক ক্যাম্পেইন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান ইরান উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৭১৫/এএএ