একনেকে ৯ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে দশ প্রকল্প অনুমোদন

512

ঢাকা, ২১ জুন, ২০২০ (বাসস) : জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) দেশের গ্রামীণ এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে সংসদ সদস্যদের জন্য আলাদা বরাদ্দ রেখে একটি প্রকল্পসহ ৯ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে মোট দশটি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে ৬টি নতুন এবং ৪টি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।
রোববার রাজধানীর শেওে বাংলা নগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি জানান, প্রকল্প ব্যয়ের পুরোটাই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হবে।
গ্রামীণ এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য একনেকে অনুমোদিত ‘অগ্রাকিারভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো প্রকল্প-৩’ এর আওতায় ২৮০ জন সংসদ সদস্যের প্রত্যেকের জন্য আলাদাভাবে ২০ কোটি টাকা করে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ৬ হাজার ৪৭৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে। প্রত্যেক সংসদ সদস্য প্রতিবছর ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে পারবেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন,প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছেন। এর কারণ তিনি গ্রাম উন্নয়নকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব¡ দিচ্ছেন। শহরের সুবিধা গ্রামে নিয়ে যেতে কাজ করছেন। প্রকল্পটি মানসম্মত উপায়ে বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
গ্রামীণ উন্নয়নকে মাথায় রেখে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে বিধায় সিটি করপোরেশন এলাকার সংসদীয় আসনের এমপিরা এই প্রকল্পের বাইরে থাকছেন। সুনিদিষ্ট এলাকা নেই বলে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপিরাও নেই এই প্রকল্পে। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুলাইয়ে শুরু হয়ে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রত্যন্ত পল্লী অঞ্চলের সঙ্গে নিকটবর্তী গ্রোথ সেন্টার, স্বাস্থ্য কে›ন্দ্র, শিক্ষা কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ উপজেলা ও জেলার যাতায়াত সুবিধা বাড়ানো হবে। ফলে পল্লী অঞ্চলে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ হবে।
একনেকে অনুমোদিত অন্য ৯ প্রকল্প হলো- বৃহত্তর পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (৬৯১ কোটি ৮০ লাখ টাকা), জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি (দ্বিতীয় সংশোধিত) (৪০৯ কোটি টাকা), মনু নদীর ভাঙন থেকে মৌলভীবাজার জেলা সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলা রক্ষা (৯৯৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা), হাওর অঞ্চলে টেকসই পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন ব্যবস্থার উন্নয়ন (৫৫৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা)।
এছাড়া জামালপুর জেলা কারাগার নির্মাণ (২১০ কোটি টাকা),গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প (চট্টগ্রাম জোন, প্রথম সংশোধিত) (৬৯২ কোটি ৩৬ লাখ টাক), টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ (হরিদাসপুর)-মোল্লারহাট ( ঘোনাপারা) আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (৬১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা), বাংলাদেশ রেলওয়ের ১০০ মিটার গেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ পুনর্বাসন (দ্বিতীয় পর্যায়) (৭৪ কোটি ১২ লাখ টাকা) এবং বিএএফও বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণ, যশোর (৩২১ কোটি টাকা)।