একাদশে না থেকে কীভাবে ম্যাচ পাতানো যায় : জয়াবর্ধনে

222

কলম্বো, ২১ জুন ২০২০ (বাসস) : সম্প্রতি ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের কাছে হারের জন্য শ্রীলংকা ক্রিকেটারদের বিপক্ষে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ তুলেন ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রীর পদে থাকা মাহিন্দানন্দ আলুথাগমাগে।
আলুথাগমাগে বলেন, ‘আমরা ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল বিক্রি করে দিয়েছি। এমনকি আমি তখনকার ক্রীড়ামন্ত্রী হয়েও কথাটা বিশ্বাস করি। ২০১১তে আমরা জয়ের পথেই ছিলাম। কিন্তু ম্যাচটা আমরা বিক্রি করেছি। মনে হচ্ছে, এখন এটা নিয়ে কথা বলা যায়। আমি খেলোয়াড়দের জড়াচ্ছি না। তবে ম্যাচ ফিক্সিং করতে কেউ তো নিশ্চয়ই জড়িত ছিল।’
আলুথাগমাগের এমন অভিযোগের পর তা প্রমানের জন্য অনুরোধ জানান ঐ ফাইনালে শ্রীলংকাকে নেতৃত্ব দেয়া কুমার সাঙ্গাকারা ও দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহেলা জয়াবর্ধনে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাঙ্গা বলেছিলেন, ‘সাবেক মন্ত্রী আলুথাগমাগের উচিত ‘প্রমাণ’ নিয়ে আইসিসি ও দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের কাছে যাওয়া। যেন অভিযোগের পূর্ণ তদন্ত হতে পারে। স্মৃতি ঠিক থেকে থাকলে আমার মনে হয়, সে সময় তিনিই ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন।’
ঐ ফাইনালে সেঞ্চুরি করা জয়াবর্ধনে টুইট করে লিখেছিলেন, ‘নির্বাচন কি খুব কাছে? মনে হচ্ছে সার্কাস শুরু হয়ে গেছে। নাম ও প্রমাণ কোথায়?’
আলুথাগমাগের ওমন অভিযোগ এবং পরে ম্যাচ পাতানোর প্রমানে সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনের চ্যালেঞ্জে, ঐ ফাইনাল ম্যাচটি তদন্তের সিদ্বান্ত নিয়েছে শ্রীলংকা সরকার।
তবে এরইমধ্যে সুর নরম করেছেন অলুথগামাগে। ডেইলি মিরর পত্রিকায় অলুথগামাগে বলেন, ‘আমি ম্যাচের দায়িত্ব পালন করা আম্পায়ার ও কর্মকর্তাদের কথা বুঝিয়েছি। আমি তো কোন খেলোয়াড়ের নাম বলিনি। আর আমি বুঝতে পারছি না সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনে এটাকে এত বড় করে দেখছে কেন। তারা এটিকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।’
অলুথগামাগের ওমন বক্তব্যে আবারো মুখ খুলতে বাধ্য হন জয়াবর্ধনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেন, ‘যখন কেউ অভিযোগ করে যে আমরা ২০১১ বিশ্বকাপ বিক্রি করে দিয়েছি, স্বাভাবিকভাবেই এটা খুব বড় বিষয়। আর এখন তিনি বলছেন, খেলোয়াড়রা করেনি। তবে আমি বুঝতেই পারছি না, কেউ একাদশেই না থাকে, কীভাবে ম্যাচ পাতানো যায়? ম্যাচে খেললেই তো পাতানোর কাজটি করা সম্ভব। আশা করি, এবার আসল ঘটনা সকলের সামনে উন্মোচিত হবে।’