বাসস দেশ-১৭
হাইড্রোগ্রাফি-দিবস
আন্তর্জাতিক হাইড্রোগ্রাফি দিবস পালিত
ঢাকা, ২১ জুন, ২০২০ (বাসস) : বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আজ রোববার বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ নৌবাহিনী চিফ হাইড্রোগ্রাফার বিভিন্ন জাহাজ বা ঘাঁটির সংস্থার মধ্যে একটি ভিডিও টেলিকনফারেন্সিংয়ের আয়োজন করে।
এই কনফারেন্সে আন্তর্জাতিক হাইড্রোগ্রাফি দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়ে আলোচনা, হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ কাজে ব্যবহƒত স্বয়ংক্রিয় ড্রোন এবং ডুবোযানসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা জানানো হয়।
বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফিক সংস্থার সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে ২০০৫ সাল হতে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল-‘ হাইড্রোগ্রাফি-এনাবিলিং অটোনোমাস টেকনোলজিস’ ।
সমুদ্রে নিরাপদ জাহাজ চলাচল, ব্লু-ইকোনমির উন্নয়ন, সামুদ্রিক পরিবেশ ও সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবহার ও তার নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার বিষয়গুলো সকলের নিকট গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরতে এ প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক হাইড্রোগ্রাফিক সংস্থা (আইএইচও) -এর ৭০তম সদস্য এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সমুদ্র অঞ্চলের সকল হাইড্রোগ্রাফিক কর্মকান্ডের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে।
এছাড়া ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক কমিটি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর হতে নৌবাহিনীর নেতৃত্বে জাতীয় পর্যায়ের সকল হাইড্রোগ্রাফিক সংস্থার মধ্যে সমুদ্র জরিপ ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহের বিষয় সমন¡য় সাধন করে থাকে। এ কমিটি হাইড্রোগ্রাফির প্রচার-প্রসার, জাতীয় হাইড্রোগ্রাফিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিজ্ঞান ও কৌশলগত সহযোগিতা বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
নৌবাহিনী ইতিমধ্যে সমুদ্রে নিরাপদ নেভিগেশনের জন্য আন্তর্জাতিক মানের নটিক্যাল চার্ট তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছে। নৌবাহিনীর তৈরীকৃত চার্টসমূহ বিশ¡ব্যাপী মেরিনারগণ তাদের বাণিজ্যিক জাহাজসমূহের সমুদ্রে নেভিগেশনের জন্য ব্যবহার করছে।
এছাড়া নৌবাহিনী বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চলের ৯টি আর্ন্তজাতিক সিরিজের চার্ট এবং ১১টি ইলেকট্রনিক নেভিগেশনাল চার্ট তৈরির সার্মর্থ্য অর্জন করেছে, যা বিশ¡ব্যাপী মেরিনারদের জন্য সহজলভ্য করার প্রক্রিয়া চলছে। এর ফলে নৌবাহিনী দেশের সামুদ্রিক বাণিজ্য প্রসারে এবং নিরাপদ নেভিগেশনে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আশা করছে আইএসপিআর।
বাসস/আইএসপিআর/এমএন/১৮২০/কেকে