কাল সূর্যগ্রহন : বিরল ‘রিং অব ফায়ার’ দেখা যাবে আফ্রিকা থেকে এশিয়ায়

361

প্যারিস, ২০ জুন, ২০২০ (বাসস ডেস্ক) : আগামীকাল রোববার আকাশ পর্যবেক্ষণকারীরা পশ্চিম আফ্রিকা থেকে আরব উপদ্বীপ,ভারত ও চীনের দক্ষিণাঞ্চল থেকে সূর্য গ্রহনকালে বিরল দৃশ্য ‘রিং অব ফায়ার’ দেখতে পাবেন।
পৃথিবী ও সূর্যের মাঝ দিয়ে চাঁদ পৃথিবী অতিক্রমের সময় সূর্য আড়াল করায় এই প্রাকৃতিক ঘটনা দৃশ্যমান হয়, এ সময় পৃথিবীর যে অঞ্চলে চাঁদের ছায়া পড়ে সেইসব এলাকা থেকে সূর্য গ্রহন দেখা যায়। চাঁদ সূর্যের গোটা আলোর বলয় আড়াল করতে পারে না, তাই চাঁদের বাইরে দিয়ে বৃত্তাকারে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটে,এটিকে ‘রিং অব ফায়ার’ বলা হয়।
এক অথবা দুই বছরে অন্তত একবার সূর্যগ্রহনকালে রিং অব ফায়ার দেখা যায়। পৃথিবীর জুড়ে সীমিত এলাকা থেকে এটি দেখা যায়।
আগামীকাল উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে দীর্ঘতম দিন। এতে উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মের উপস্থিতি প্রকাশ পায়। এ সময় দক্ষিণ গোলার্ধ সরাসরি সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে। ‘রিং অব ফায়ার’ প্রথম দেখা যাবে কঙ্গোর উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে , সূর্য ওঠার পরপরই স্থানীয় সময় ৫ টা ৫৬ মিনিটে
(গ্রীনিচ মান সময় ০৪:৫৬)। পূর্ণ গ্রহনের সময় হবে ১ মিনিট ২২ সেকেন্ড।
পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য একই রেখায় অবস্থান করবে মাত্র ৩৮ সেকেন্ড। প্যারিস অবজারভেটরির জ্যোতির্বিদ ফ্লোরেন্ট ডেলিফি বলেন, পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের মাত্র ২ শতাংশ এলাকা থেকে বলয়গ্রাস গ্রহন দেখা যাবে। পূর্ণ গ্রাস গ্রহনকালে সূর্যের আলো কমে যাবে, ৫০০ ওয়াটের ভালব ৩০ ওয়াটে নিয়ে আসলে যেমনটা ঘটে ,এ ক্ষেত্রেও তেমনই হবে।
দিনের আলো হঠাৎ কমে যাওয়ায় প্রাণীরা হতভম্ব হয়ে যেতে পারে,পাখিরা আবার ঘুমিয়ে পড়তে পারে , গরু আবার গোয়ালে ফিরতে পারে।
চার ঘন্টার মতো সময়ের মধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রহন দেখা যাবে, তাইওয়ান থেকে শেষ আংশিক গ্রহন দেখা যাবে। পরে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় সরে যাবে।
এ বছর দ্বিতীয়বার সূর্য গ্রহন দেখা যাবে ১৪ ডিসেম্বর। এটি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে দেখা যাবে।