ব্রুনো ফার্নান্দেসের পেনাল্টিতে হার এড়ালো ইউনাইটেড

319

লন্ডন, ২০ জুন ২০২০ (বাসস) : ব্রুনো ফার্নান্দেসের দ্বিতীয়ার্ধের পেনাল্টিতে কাল প্রিমিয়ার লিগে টটেনহ্যামের সাথে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু প্রায় ছয় মাস পর প্রথমবারের মত খেলতে নেমে ফরাসি তারকা পল পগবাই ছিলেন ম্যাচের মূল নায়ক। ইউনাইটেড ম্যানেজার ওলে গানার সুলশার আরো একবার পগবার কাছ থেকে আস্থা অর্জন করলেন।
বদলী বেঞ্চ থেকে সুলশার বিশ^কাপ জয়ী এই তারকাকে উঠিয়ে আনলেও ইউনাইটেডের সমতাসূচক পেনাল্টিটি এরিক ডায়ারের বিপক্ষে তিনিই আদায় করে নিয়েছিলেন। সেই পেনাল্টি থেকে ব্রুনো ফার্নান্দেস ৮১ মিনিটে গোল করে ইউনাইটেডের পক্ষে সমতা ফেরান। এবারের মৌসুমে গোঁড়ালির ইনজুরির কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন পগবা। যে কারনে মাত্র ৯টি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। একইসাথে তার ম্যানচেস্টার ছাড়ার জোড় গুজবও শোনা গিয়েছিল।
ম্যাচ শেষে সুলশার বলেছেন, ‘পল সব সময়ই নিজেকে প্রমানের জন্যই মাঠে নামে। কারন সে সেরাটা দিতে চায়। ইনজুরির কারনে যদিও এবারের মৌসুমটা দারুন হতাশার ছিল। আজ সে আমার আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। আমি শুধুমাত্র তাকে ফিট দেখতে চাই।’
এই ড্রয়ে চেলসির থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে পঞ্চম স্থানেই থাকলো ইউনাইটেড। কিন্তু এই এক পয়েন্ট স্পার্সদের জন্য আরো বেশী গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ইউনাইটেডের থেকে চার পয়েন্ট পিছিয়ে তারা অষ্টম স্থানেই রয়েছে।
টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে ২৭ মিনিটে স্টিভেন বার্গউইনের গোলে এগিয়ে যায় হোসে মরিনহোর দল। যদিও বিরতির পর ইউনাইটেডের চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় স্বাগতিকরা। সমতা ফেরানোর পর ফার্নান্দেস আবারো ডায়ারের চ্যালেঞ্জে দ্বিতীয় পেনাল্টি আদায় করে নিয়েছিলেন। কিন্তু ভিএআর রিভিউতে তা বাতিল হয়ে যায়। মরিনহো বলেন, ‘আমরা জানি এবারের মৌসুমে পেনাল্টি আদায়ের ক্ষেত্রে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এগিয়ে ছিল। যে কারনে আমরা জানতাম বক্সের ভিতর সবকিছুই বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। আমার মনে হয় প্রথম পেনাল্টিটি রেফারির পক্ষে সিদ্ধান্ত দেয়া কঠিন ছিল। কিন্তু পরেরটা ভিএআর পরিবর্তন করে দিয়েছে। রেফারিরাও ভুল করতে পারে। কিন্তু আমার মতে ভিএআরও ভুল করে।’
চলতি সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া প্রিমিয়ার লিগের প্রতিটি ম্যাচে বিশ^জুড়ে বর্ণবাদের বিপক্ষে প্রতিবার জানানোর জন্য সব খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের ম্যাচের শুরুতে হাঁটু গেড়ে বসার একটি মুহূর্ত বেঁধে দেয়া হয়েছে। দর্শক শুন্য স্টেডিয়ামে অবশ্য সমর্থকদের অনুপস্থিতিতে বিষয়গুলো শুধুমাত্র স্ক্রিনেই উপভোগের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
জানুয়ারির পর থেকে পিঠের ইনজুরির কারনে মাঠের বাইরে থাকা মার্কোস রাশফোর্ডের সুযোগ হয়েছিল মাঠে নামার। করোনাভাইরাসের কারনে তিন মাস খেলা বন্ধ থাকার কারনে রাশফোর্ডের সুযোগ হয়েছে সেরে ওঠার। ম্যাচের শুরুতেই রাশফোর্ডের লো শট কোনমতে পা দিয়ে আটকে দেন টটেনহ্যাম গোলরক্ষক হুগো লোরিস। যে কারনে এগিয়ে যাওয়া হয়নি ইউনাইটেডের। লকডাউনের কারনে অবশ্য সুফল পেয়েছে টটেনহ্যামনই বেশী। দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের ইনজুরির কারনে মৌসুম প্রায় শেষের পথে থাকলেও করোনার কারনে তার থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ এসেছে। যার মধ্যে অন্যতম হ্যারি কেন, সন হেয়াং-মিন, মুসা সিসোকো ও বার্গউইন। প্রত্যেকেই ফিট হয়ে মূল একাদশে ফিরেছেন। ডাচম্যান বার্গউইনের জন্য মুহূর্তটা একটু বেশী আনন্দের ছিল। ২৭ মিনিটে তার শক্তিশালী শট রুখতে পারেননি ডেভিড ডি গিয়া।
বিরতির পর এ্যান্থনি মার্শালের শট কোনমতে রুখে দেন লোরিস। এরপর ৬৩ মিনিটে বদলী বেঞ্চ থেকে উঠে আসে পগবা। গত ২৬ ডিসেম্বরের পর এটাই তার প্রথম ম্যাচ। ৮১ মিনিটে এরিক ডায়ার বক্সের ভিতর পগবােেক ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ইউনাইটেড। ফার্নান্দেস ঠান্ডা মাথায় লোরিসকে স্পট কিক থেকে উল্টো দিকে পাঠিলে বল জালে জড়ান।