বাসস দেশ-৩৪ : অধস্তন আদালতের ২০ বিচারক, সুপ্রিমকোর্টের ২৪ কর্মচারী করোনা আক্রান্ত

136

বাসস দেশ-৩৪
বিচারক-করোনা
অধস্তন আদালতের ২০ বিচারক, সুপ্রিমকোর্টের ২৪ কর্মচারী করোনা আক্রান্ত
ঢাকা, ২০ জুন ২০২০ (বাসস) : অধস্তন আদালতের ২০ জন বিচারক, সুপ্রিমকোর্টের ২৪ কর্মচারী এবং অধস্তন আদালতের ৫৯ জন কর্মচারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে আরও ছয়জন বিচারক আইসোলেশনে আছেন।
করোনা উপসর্গ নিয়ে দুইজন কর্মচারী মারা গেছেন। কিন্তু তাদের করোনা শনাক্তের ফল এখনও আসেনি।
সুপ্রিমকোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান আজ গনমাধ্যমে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা এবং দায়িত্ব পালনের সময় সারাদেশে এ পর্যন্ত অধস্তন আদালতে ২০ জন বিচারক, সুপ্রিম কোর্টের ২৪ জন কর্মচারী এবং অধন্তন আদালতের ৫৯ জন কর্মচারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন আছেন আরও ছয়জন বিচারক। পাশাপাশি উপসর্গ নিয়ে গত ১৮ জুন মাদারীপুর জেলা জজ আদালতের জারিকারক মো. কাউসার এবং ১৯ জুন নওগাঁ জেলা জজ আদলতের অফিস সহায়ক মহিউদ্দিন মোহনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের করোনা পরীক্ষার ফলাফল এখনও আসেনি।
তিনি জানান, সর্বপ্রথম গত ২২ মে নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ শাহাজাহান কবির করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং এরপরে মুন্সিগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট বেগম রোকেয়া রহমান আক্রান্ত হন। বর্তমানে তারা দুজন সুস্থ হয়ে কাজে যোগদান করেছেন।
সুপ্রিমকোর্ট মুখপত্র জানান, এখন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন লালমনিরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফেরদৌস আহমেদ। তাকে প্লাজমা দেয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক বেগম শামীম আহমেদ। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আছেন জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী।
তিনি জানান, বাকি যেসব বিচারক বর্তমানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসস্থানে চিকিৎসাধীন আছেন, তারা হচ্ছেন- কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরণ শংকর হালদার, ভোলার জেলা ও দায়রা জজ এবিএম মাহমুদুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব এস মোহাম্মদ আলী, কক্সবাজরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.রেজাউল করিম, বরিশালের অতিরিক্ত জেলা জজ মুহাম্মদ মাহবুব আলম, সিলেটের যুগ্ম জেলা জজ মাসুদ পারভেজ, নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম জেলা জজ মাসুদ জামান, কুড়িগ্রামের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. তৈয়ব আলী, নেত্রকোনার সহকারী জজ মো. মেহেদী হাসান, চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে, চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ নোমান, ঢাকার সিনিয়র সহকারী জজ তসরুজ্জামান, নোয়াখালী হাতিয়া চৌকি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নিজাম উদ্দিন এবং ডিপিডিসি-২ এর স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রেজমিন সুলতানা।
সুপ্রিমকোর্ট থেকে আক্রান্ত বিচারক এবং কর্মচারীর চিকিৎসা বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা জজদের অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া তাদের সঙ্গে সুপ্রিমকোর্ট থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং সময় সময় প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করা হচ্ছে বলে জানান সাইফুর রহমান।
এর আগে গত ১৪ জুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অধস্তন আদালতের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও সহায়ক কর্মকর্তা-কার্মচারীদের তথ্য চায় হাইকোর্ট প্রশাসন।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৭৪৫/স্বব