সন্তানদের মিস করছেন আফ্রিদি

654

করাচি, ১৮ জুন ২০২০ (বাসস) : গত শনিবার প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। আক্রান্ত হবার পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, আইসোলেশনে আছেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের থেকে আলাদা থাকছেন আফ্রিদি। নিজের সুস্থতা ও পরিবারের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেই আলাদা থাকছেন তিনি। তবে এই অবস্থায় নিজের সন্তানদের খুব বেশি মিস করছেন আফ্রিদি।
সাামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের লাইভে এসে আফ্রিদি নিজেই এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমি এখন অনেক ভালো আছি। একা থাকার কারনে আমার সন্তানদের মিস করছি।’
হঠাৎ করেই গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব উঠে, আফ্রিদির শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে। এ খবর শুনে নিজের শারীরিক অবস্থা জানাতেই লাইভে আসেন আফ্রিদি।
লাইভে তিনি বলেন, ‘এই ভিডিওটি করছি কারণ গত কয়েকদিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পেলাম, আমার শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে, এমন গুজব উঠেছে। এসব কথা সত্যি নয়। তবে এটি ঠিক, প্রথম কয়েকদিন অবস্থা খারাপ ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনে আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি, সুস্থ আছি।’
লাইভে করোনা আক্রান্তদের সাহস দিয়েও বার্তা দিয়েছেন আফ্রিদি। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস সম্পর্কে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আপনি নিজে যতক্ষণ পর্যন্ত লড়াই করবেন, তখন আপনাকে হারাতে পারবে না। প্রথম দিকের দিনগুলো আমার জন্য খুব কঠিন ছিলো।’
সংক্রমিত হবার পর থেকে আফ্রিদির সুস্থতায় ভক্ত, সহযোগী খেলোয়াড়দের কাছ থেকে দোয়া ও ভালোবাসার বার্তা পেয়েছেন আফ্রিদি। সেই তালিকায় বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও ছিলেন।
আফ্রিদির সুস্থতার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজের অ্যাকাউন্টে মুশফিক লিখেছিলেন, ‘আপনার (আফ্রিদি) এই খবরটা শুনে সত্যিই অনেক কষ্ট পেয়েছি। আল্লাহ আপনাকে রোগ মুক্ত করুক। সবাই আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন। তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। ইনশাআল্লাহ আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন।’
করোনায় আক্রান্ত ও অসহায়দের সহায়তায় নিজের ব্যাট নিলামে তুলেছিলেন মুশফিক। সেটি ১৭ লাখ টাকায় কিনেছিলেন আফ্রিদিই।
আর পাকিস্তানে করোনাভাইরাসের সংক্রমনের পর থেকে অসহায়-দুস্থদের পাশে থেকে সহায়তা করেছেন আফ্রিদি ও তার ফাউন্ডেশন। পাকিস্তানের গ্রাম-গঞ্জে গিয়ে আর্থিক ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে অসহায়দের সহায়তা করেছেন তিনি। এমনকি হিন্দু ধর্মাবলম্বি মন্দিরে গিয়ে সেখানকার মানুষদের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন আফ্রিদি।