বাসস দেশ-২০ : করোনা মোকাবেলায় কক্সবাজারের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার

400

বাসস দেশ-২০
করোনা-মোকাবেলা
করোনা মোকাবেলায় কক্সবাজারের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার
ঢাকা, ১৮ জুন, ২০২০ (বাসস): রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে করোনার সংক্রমণ হতে বাঁচাতে, এই সংকটকে সফলভাবে মোকাবেলা করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন ।
সকল প্রক্রিয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ, স্থানীয় প্রতিষ্ঠান, স্থানীয়-জাতীয় এনজিও এবং জাতিসংঘ সংস্থার অংশগ্রহণ আবশ্যক। আগামী ২০ জুন অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষ্যে আজ আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তাগণ এ সব অভিমত প্রকাশ করেন। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রাস্ট আয়োজিত ‘সবার উপরে মানুষ সত্য: কোভিড-১৯ ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী’ শীর্ষক সেমিনারটি সভাপতিত্ব করেন উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরী।
কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ মাহবুব আলম তালুকদার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান প্রমুখ।
সরকারের অতিরিক্ত সচিব এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে ব্যাপকভাবে করোনা সংক্রমণের আশংকাটা আমরা সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলা করতে পেরেছি, এ জন্য ভূমিকা ছিলো সংশ্লিষ্ট সকলের। করোনা প্রতিরোধে শিবির এলাকায় কর্মরত ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি ২০% এবং যানবাহনের সংখ্যা ১০% এ নামিয়ে আনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা রোগীদের জন্য ২৩০টি আইসোলেশন বেড তৈরি করা হয়েছে, খুব শীঘ্রই ১৯০০ বেডের হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। ৩৩৬ টি সিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয়দের জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে পিসিআর মেশিন আনা হয়েছে।
কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বজুড়ে যে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করেছে, তাকে নামনে রেখে আমাদের অর্থিক সুযোগগুলো নিতে হবে। আর এই মানবিক দৃষ্টান্ত অব্যহত রাখা জরুরি। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় কর্মসুচি বাস্তবায়নের নেতৃত্ব স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকলে তা টেকসই সমাধানে সহায়ক হবে।
বাসস/সবি/কেকে/১৮৩৫/স্বব