সব জেলা হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা সম্প্রসারিত হচ্ছে

245

ঢাকা, ১৮ জুন, ২০২০ (বাসস) : দেশের সব জেলা হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা সম্প্রসারণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
তিনি জানান, ‘সব জেলা হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) সুবিধা সম্প্রসারণের কাজ চলছে। জেলা পর্যায়ের সব সরকারি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা, অক্সিজেন কনসানটেটরসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সব রোগের যেন ভালোভাবে চিকিৎসা সেবা দেয়া যায়, সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
মহাপরিচালক আজ দুপুরে করোনা বিষয়ে নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সহজে যেন করোনা পরীক্ষা করা যায়, এমন পদ্ধতি চালু করা হবে। উপজেলা হাসপাতাল পর্যন্ত এ ধরনের ব্যবস্থা চালুর প্রচেষ্টা নেয়া হবে। পাশাপাশি সরকারি ব্যবস্থাপনায় জেলা পর্যায়ে করোনা শনাক্তে আরটি পিসিআর পরীক্ষা যত দ্রুত সম্ভব সম্প্রসারিত হবে।’
মহাপরিচালক বলেন, করোনা শুধুমাত্র স্বাস্থ্যগত বিষয় নয়, এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক, যোগাযোগ, ধর্ম, বাণিজ্য অর্থাৎ জীবনের সব কিছুকে ঘিরে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে অধিকতর জোরালো নজর দিয়েছেন। তিনি সম্প্রতি ২ হাজার চিকিৎসক, ৫ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছেন। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তার নির্দেশে এখন দীর্ঘস্থায়ী সক্ষমতার কাজ দ্রুতগতিতে শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা পরীক্ষার কাজ সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সম্প্রসারিত হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় জেলা পর্যায় পর্যন্ত আরটি পিসিআর পরীক্ষা যত দ্রুত সম্ভব সম্প্রসারিত হবে। সহজে করা যায় এমন আরও নতুন নতুন কোভিড পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হবে। উপেজেলা হাসপাতাল পর্যন্ত এ ধরনের পরীক্ষা চালুর প্রচেষ্টা নেয়া হবে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ভরসা রাখুন। বিশ্বের করোনা বাস্তবতার প্রতিও লক্ষ্য রাখুন। বাংলাদেশ ব্যতিক্রম কোনো দেশ নয়। আমাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্যে যা করা সম্ভব এবং যা করা বাস্তবমুখী, সরকার সে ব্যবস্থাই নিচ্ছে। আরেকটি কথা বলতে চাই, আপনার সুরক্ষা আপনার হাতেই। যতদিন করোনা থাকবে, ততদিন প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কারও করোনা সন্দেহ হলে পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা না করে দ্রুত চিকিৎসা দিতে হবে। যেকোনো মূল্যে মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাসে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতেই হবে।
দেশে করোনাভাইরাস দুই থেকে তিন বছর বা তার চেয়েও বেশ সময় থাকতে পারে উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, দেশের করোনার চিত্র তুলে ধরতে স্বাস্থ্য বুলেটিনের পরিবেশনা, কে পরিবেশন করবেন এবং কীভাবে পরিবেশন করা হবে এ বিষয়ে ব্যতিক্রম আসতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা অনেকে হয়তো জানেন, আমিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া, আপনারাও আমার জন্য দোয়া করেছেন। তাই আমি সুস্থ হয়ে বেশ কয়েক দিন হলো অফিসে যোগদান করে কাজ করছি।’