বাসস দেশ-২৬ : মিনহাজসহ ৪ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

177

বাসস দেশ-২৬
মিনহাজ-জিজ্ঞাসাবাদ
মিনহাজসহ ৪ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি
ঢাকা, ১৬ জুন, ২০২০ (বাসস) : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেফতারকৃত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমনসহ চার জনকে দুই দিনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
অপর আসামিরা হলেন-রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভুইয়া,কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও ব্যবসায়ী মুশতাক আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম (ভার্চুয়াল আদালত) মোহাম্মদ জসিম তাদের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুইদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অনুমতি দেন।
এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে তাদের ভার্চুয়াল আদালতে উপস্থিত দেখানো হয়। এসময় সঙ্গে ছিলেন কারাকর্তৃপক্ষ।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন । অপরদিকে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাদের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুই কার্যদিবসে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি দেন।
আদালতের রমনা থানার পুলিশের উপপরিদর্শক নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৬ ও ৭ মে মিনহাজ মান্নান, কিশোর, দিদার ও মুশতাককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
৫ মে র‌্যাব-৩ সিপিসি-১ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদি হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। এছাড়া আরও অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোর, ব্যবসায়ী মোস্তাক আহম্মেদ, ‘রাষ্ট্রচিন্তা’র সংগঠক দিদারুল ইসলাম, মিনহাজ মান্নান ইমন, প্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল, শায়ের জুলকারনাইন, আশিক ইমরান, ফিলিপ সমাচার, স্বপন ওয়াহিদ, শাহেদ আলম ও ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ‘আই এম বাংলাদেশি’ নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুন্ন করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছে। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। ওই পেজের অ্যাডমিন শায়ের জুলকারনাইন এবং কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ সমাচার, স্বপন ওয়াহিদ, মোস্তাক আহম্মেদ নামের ফেসবুক আইডিসহ পাঁচজন এডিটর পরস্পর যোগসাজসে ফেসবুক পেজটি দীর্ঘদিন পরিচালনা করছে।
পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিং’ এর প্রমাণ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়েছে, ‘তাদের ব্যবহৃত স্যামসাং মোবাইল ফোনে ‘আমি কিশোর’ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়। আলামত পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, মহামারি করোনাভাইরাস, সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তাসনিম খলিল, শায়ের জুলকারনাইন, শাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের সঙ্গে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/২০১৮/কেকে