ক্যাসিনো কান্ডের অন্যতম হোতা খালেদ তিন দিনের রিমান্ডে

225

ঢাকা, ১৬ জুন, ২০২০ (বাসস) : অবৈধ ক্যাসিনো কান্ডের অন্যতম হোতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি ভার্চুয়াল আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম (ভার্চুয়াল আদালত) জিয়াউর রহমান শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ দিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে খালেদকে উপস্থিত দেখানো হয়। এ সময় কারাকর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ব্যক্তিগণ খালেদেও সঙ্গে ছিলেন।
মতিঝিল থানার অর্থপাচার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক রাশেদুর রহমান। অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ডের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মতিঝিল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোতালেব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,মতিঝিল থানার অর্থপাচার মামলায় গত রোববার খালেদকে গ্রেফতার দেখানো ও সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে সিআইডি। ওই দিন আদালতে আবেদনটি উপস্থাপন করা হলে বিচারক আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে বিচারক অর্থ পাচার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো পুর্বক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ৭ জুন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ইব্রাহিম হোসেন বাদি হয়ে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে খালেদের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। পরের দিন ৮ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ সিআইডির করা দুই মামলার এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১২ জুলাই দিন ধার্য করেছেন।
উল্লেখ্য, রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে ‘ক্যাসিনো’ চালানোর অভিযোগে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশানের নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা। এ সময় তার বাসা থেকে একটি অবৈধ পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, ২০১৭ সালের পর নবায়ন না করা একটি শটগান ও ৫৮৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরদিন দুপুরে তাকে গুলশান থানায় হস্থান্তর করা হয়। একই দিন র‌্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার গোলাম মোস্তফা বাদি হয়ে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন।
অন্যদিকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে র‌্যাবের ওয়ারেন্ট অফিসার চাইলা প্রু মার্মা বাদি হয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন।