চট্টগ্রাম নগরীর ১০ এলাকা ও ৯ উপজেলা রেড জোন ঘোষণা

529

চট্টগ্রাম, ১৫ জুন, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (সিসিসি) ১১টি ওয়ার্ড এবং ৯টি উপজেলাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভায় সিসিসি’র ১০টি ওয়ার্ডকে নতুন করে রেড-জোনভুক্ত করা করেছে।
শনিবার এ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরআগে নগরীর উত্তর কাট্টলীকে রেড-জোনের আওতায় আনা হয়।
অপরদিকে চট্টগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলাকে রেড-জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি আজ সোমবার এ ঘোষণা দেন।
সিটি করপোরেশন এলাকার রেড জোন হিসেবে চিহ্নিতের মধ্যে রয়েছে, চট্টগ্রম বন্দর থানাধীন ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, পতেঙ্গার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড, পাহাড়তলির ১০ নম্বর ওয়ার্ড, কোতোয়ালি থানা এলাকার ১৬ নম্বর এবং ২০, ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড, খুলশীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং হালিশহরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড।
যেসব এলাকায় ১৪ দিনে, প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ৬০ জন করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন, সেসব এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ধরা হয়েছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টা থেকে নগরীর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে পরীক্ষামূলক লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্য ১০ ওয়ার্ডেও করা হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মোট ১১ টি ওয়ার্ড রেড-জোন হিসেবে চিহ্নিত হলো।
যেসব এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত, সেসব এলাকায় কড়া লকডাউন কার্যকর করার সুপারিশ করেছে টেকনিক্যাল কমিটি। রেড জোনে, করোনা (কোভিড-১৯) আক্রান্তরা কোয়ারিন্টিনে থাকবেন। নিজেদের বাসা/বাড়ি থেকে তাদের বের হতে দেয়া হবে না।
আক্রান্ত রোগী ও কোয়ারিন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের খাবার ও জরুরি ওষুধ তাদের বাসায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে চট্টগ্রামের ৯টি উপজেলাকে রেড-জোন ঘোষণা করার পাশাপাশি তিনটি উপজেলাকে হলুদ ও দু’টি উপজেলাকে সবুজ জোন হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
রেড-জোনের আওতাধীন উপজেলাগুলো হচ্ছে আনোয়ারা, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, সীতাকুন্ড ও হাটহাজারী।
এছাড়া হলুদ জোনের তিন উপজেলা হচ্ছে, ফটিকছড়ি, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া। আর সবুজ জোনে থাকা দু’টি উপজেলা হলো, সন্দ্বীপ ও মিরসরাই।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি আজ সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ি লকডাউন চলাকালীন চিহ্নিত এলাকায় সরকারি আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে।
লকডাউন চলার সময়ে চিহ্নিত ওয়ার্ডে যানবাহন, মানুষের চলাচল ও দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এছাড়া প্রত্যেক মানুষকে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে।
সিভিল সার্জন জানান, লকডাউন চলাকালীন এলাকার অধিবাসীরা নিজের এলাকায় থাকবেন এবং বাইরের কেউ নিজেদের এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। যারা ঘরে আবদ্ধ থাকবেন তাদের প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হবে।
এ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নির্দিষ্ট টেলিফোন নম্বরে এলাকাবাসীর চাহিদা মোতাবেক ন্যায্য বাজারমূল্যে খাদ্য, ওষুধপত্রসহ দৈনন্দিন স্বাভাবিক জীবন যাপনের সকল উপকরণ ঘরে-ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
যারা হতদরিদ্র তাদের অবস্থার কথা বিবেচনা করে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে।